Posts

Showing posts from April, 2014

শুবাচ ও একুশে পদক / জহির উদ্দিন- শুবাচ

Image
 শুবাচ ও একুশে পদক ইশ! সরকার যদি শুবাচের এই প্রচেষ্টার কথা জানতেন, আমি নিশ্চিত 'একুশে পদক' এর মতো সম্মানজনক পদক শুবাচ পেত। তবে আমার বিশ্বাস সে দিন খুব সন্নিকটে। দেশে আরেকটি বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে, সেটা 'শুবাচ বিপ্লব'। এই আন্দোলনের সৈনিক ছত্রিশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে শুবাচের সদস্য; প্রতিক্ষণে বাড়ছে বাংলাপ্রেমীর সংখ্যা। আমি মনে করি শুবাচ তার কার্যক্রমের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল বাংলাভাষীর মনে বাংলা প্রেমের এক অনবদ্য বীজ বুনে দিয়েছে। এ বীজ হতে হবে মহীরুহ। এটাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমার আপনার সবার। আসুন শুবাচের পতাকা তলে সমবেত হয়ে মাতৃভাষা প্রতি আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ নিই। অবারিত করি নিজেকে শুদ্ধ বানান ও শুদ্ধ বাংলা চর্চায়। মাতৃভাষাকে অশুদ্ধরূপে জানার মত লজ্জা আর হতে পারে না। মাতৃভাষাকে না-চেনা মানে নিজের জন্মধাত্রীকে না-চেনা। শুবাচ আমাদের এমন হীন লজ্জার হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার মহান ব্রতে নিরন্তর রত। শুবাচ পেইজে লেখালেখি করলে আরও অনেক সদস্য বাড়বে বলে আমি মনে করি। ফেইসবুক যারা ব্যবহার করেন তাঁরা গ্রুপের চেয়ে যে কোন

শুবাচ : শিক্ষিতজনের শিক্ষাঙ্গন / বিধুভূষণ ভট্টাচার্য - শুবাচ

 শুবাচ : শিক্ষিতজনের শিক্ষাঙ্গন 'শুবাচ' শিক্ষিতজনের শিক্ষাঙ্গন। শত শত শশব্যস্ত শৌখিন শাস্ত্রজ্ঞ শব্দসৈনিকের শুভমিলনকেন্দ্র শুবাচ। শব্দশৈলীর শিল্পনৈপুণ্যে শিহরিত শুচিস্মিত শিক্ষার্থীর শুভ্র শান্ত শশিমুখ। শ্বাপদ শৃগাল শকুনের শ্যেনদৃষ্টির শীৎকারে শতকের শুরু শশীহীন শর্বরীসম, শার্দূলে শাসিছে শৃগালে। শতজন শঙ্কিত, শুধু শুবাচের শব্দশস্ত্রে শক্তিমান শ্রীমানেরা শঙ্কাহীনচিত্ত। শ্রদ্ধাবনত শির শ্রীপাদপদ্মকুঞ্জে!

শুবাচ গোলটেবিল বৈঠক / ড. মোহাম্মদ আমীন

চায়ের কাপ থেকে মুখ তুলে চারিদিকে তাকান মডারেটর ড. মোহাম্মদ আমীন। শুবাচের অনেক সম্মানিত সদস্য উপস্থিত। তবে কয়েকজন সম্মানিত সদস্য অনুপুস্থিত। হয়ত বা পথে, এক্ষুণি এসে পৌঁছবেন বলে। প্রতিদিনের মতো আজকের বিষয়ও অনির্ধারিত। আলোচনার মুখ্য বিষয় বাংলা বানান হলেও ভাষা থেকে জীবন-যাপন অনেক কিছুই উঠে আসে। পরস্পর সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধাবোধের মাঝে চায়ের ফাঁকে ফাঁকে আলাপ। কারও প্রস্তাব অনেকক্ষণ আবার কারও প্রস্তাব অণুক্ষণ। মোহাম্মদ আমীন : আপনারা এবং আপনাদের উপস্থিতিই শুবাচের প্রাণ। সবাইকে স্বাগত। এনামুল হক: আমার একটা প্রস্তাব ছিল স্যার। মোহাম্মদ আমীন : বলুন। এনামুলক হক : বিসমিল্লায়ই গলদ! 'বানান চর্চা' আলাদা না হয়ে একশব্দে 'বানানচর্চা' হওয়া (মুল : হ-ওয়া) উচিত। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে- আমরা ধর্মচর্চা- শরীরচর্চা-সাহিত্যচর্চা-বিজ্ঞানচর্চা-সংস্কৃতিচর্চা- অনধিকারচর্চা লিখি, (সমাসবদ্ধ পদ সেঁটে বসবে)। সে যাক, এবার আরেকটু সামনে এগোই।'নামকরণ' সেটা মানুষের বা জিনিসের যেটারই হোক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, অর্থবহ হতে হবে। আপাতদৃষ্টিতে গ্রুপের নাম "শুদ্ধ বানান চর্চা" দেখে মনে হবে এ

ভুল বাণীতে নজরুল / হাজী রফিক

ভুল বাণীতে নজরুল-সঙ্গীত গেয়েছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় একই গান আমি অনেকের কণ্ঠে শুনি। হেরফের খেয়াল করি। যেমন এখন শুনছি সন্ধ্যা মুখার্জির গাওয়া নজরুল-সঙ্গীত 'হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে কুড়াই ঝরা ফুল' [বাগেশ্রী / লাউনি]। এটা সন্তোষ সেনগুপ্ত থেকে পারভীন মুশতারিসহ অনেকের কণ্ঠে শুনেছি। আজ চমকে উঠলাম। কবি লিখেছেন, 'চারিপাশে মোর উড়িছে কেবল...' সন্ধ্যা গেয়েছেন, 'চারিদিকে মোর উড়িছে কেবল...' কবি লিখেছেন, 'মলিন ফুলদল' সন্ধ্যা গেয়েছেন, 'বনের ফুলদল' কবি লিখেছেন, 'নিভিছে জীবন, জীবন-স্বামী।' সন্ধ্যা গেয়েছেন, 'নিভেছে জীবন...' রবীন্দ্র-সঙ্গীত এভাবে গাইলে হায় হায় রব উঠতো।

বাংলা প্রবাদে তুচ্ছার্থে ‘টা’ এবং গৌরবার্থে ‘টি’ প্রত্যয়ের ব্যবহার / ড. মোহাম্মদ আমীন - শুবাচ

বাংলা প্রবাদে তুচ্ছার্থে ‘টা’ এবং গৌরবার্থে ‘টি’ প্রত্যয়ের ব্যবহার ================ আমার ছেলে ছেলেটি, খায় শুধু এতটি বেড়ায় যেন গোপালটি। ওদের ছেলে ছেলেটা, খায় দেখ কতটা বেড়ায় যেন বাঁদরটা।

শুভ শুভ শুভ দিন / হোসাইন মাহমুদ জিকু - শুবাচ

Image
শুভ শুভ শুভ দিন হোসাইন মাহমুদ জিকু আর মাত্র ১ ঘন্টা ৩১ মিনিট পর ঘড়িতে রাত ১২টা বাজবে। শুরু হবে শুবাচের অন্যতম প্রাণ-পুরুষ ড. মোহাম্মদ আম এর শুভ জন্মদিন। আসলে প্রাপ্তি যেখানে প্রত্যাশার সীমা ছাড়িয়ে যায় সেখানে ভাল লাগাই স্বাভাবিক, এ ভালো লাগার প্রাণ, ড. মোহাম্মদ আমীন প্রাণ-কেন্দ্র আমাদের শুবাচ... এবং শুবাচের প্রাণ ড. মোহাম্মদ আমীন। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তুলেছেন শুবাচ। বাংলা ও বাংলা ভাষার জন্য যার ভালোবাসা অফুরান। তার চেষ্টায় কয়েক মাসের মধ্যে শুবাচের সদস্য সংখ্যা অর্ধ লক্ষ ছুঁতে যাচ্ছে। আসুন সবাই একসঙ্গে আমাদের এই প্রিয় মানুষটিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই, শুভ হোক আগামীর পথচলা.. শুভ হোক শুবাচের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব ড. মোহাম্মদ আমীনের আগামী দিনগুলো। .

গোঁফখেজুরে, রবীন্দ্রনাথ ও জাপানে ভারতীয় আম / বিজিত কুমার ভট্টাচার্য - শুবাচ

Image
গোঁফখেজুরে, রবীন্দ্রনাথ ও জাপানে ভারতীয় আম   গোঁফখেজুরে বাগধারাটির মানে হচ্ছে অলস । কেমন অলস ? খেজুরটি গোঁফের উপর পড়ে আছে তবু সেটি মুখের ভেতরে নেবার চেষ্টা করে না এমন অলস ! অন্যভাবে বলা যায় , পরিচর্যার অভাবে ( কারণ আলস্য ) গোঁফের অবস্থা এমন যে - খেজুর যে আটকে আছে তা নিজে বুঝতেই পারছে না । রাস্তায় হাঁটছে ( গোঁফখেজুরে হাঁটার চেষ্টা করবে কিনা সন্দেহ আছে ) । লোকজন বলছে - ঐ যায় গোঁফখেজুরে । জিকরুর রেজা খানমের মন্তব্য বেশ সরস। তাঁরমতে, অলসতার গল্প অনেক । একটা হল , ‘ পিপু ফিশু’ , আরেকটি ‘ রবি কত জ্বলেরে আঁখি মেলে কে দেখেরে ।’ এক রাজা ঘোষণা দিয়েছিলেন , তার রাজ্যে যারা অলস , তাদের তিনি মাগনা খাওয়াবেন , কেননা শত হলেও মানুষ , না খেয়ে মারা যেতে দেয়া যায় না । ফল হল- এই সুযোগে অনেক অকম্মা এসে জুটল । তাদের খাওয়াতে খাওয়াতে রাজকোষ লাটে উঠবার যোগাড় । রাজার মন্ত্রী ছলেন বিচক্ষণ । তিনি বুদ্ধি দিলেন , রাজামশাই , ওদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিন , আসল অলস চেনা যাবে । আগুন লাগানোর পর নকল অলসে

হালনাগাদ-করা বাংলা শব্দভাণ্ডার চাই / খুরশেদ আহমেদ - শুবাচ

Image
হালনাগাদ-করা বাংলা শব্দভাণ্ডার চাই বাংলা ভাষায় প্রতিনিয়ত নতুন শব্দ একদিকে এই ভাষার ভিতর থেকে তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে বাইরে থেকে এসে ঢুকছে। এগুলো সামাল দেওয়া, একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনা বাংলার অভিভাবকদের, বাংলা একাডেমির, অভিধান প্রণেতাদের কাজ।   আমি দেখি, বিভিন্ন ভাষার অভিভাবকেরা প্রতি বছর সদ্য-স্বীকৃত ও -আত্তীকৃত নতুন শব্দের তালিকা প্রকাশ করেন। Oxford English Dictionary প্রতি বছর তাদের শব্দভাণ্ডার চারবার হালনাগাদ করে। ২০১৪-র মার্চে তাদের অভিধানে নয়শোরও বেশি শব্দ, পদবন্ধ (phrases) ও অর্থ (sense) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাদের পরবর্তী আপডেট আসছে এই জুন ২০১৪-তে। [সংযুক্ত লিংক দেখুন।]   সে তুলনায় আমাদের বাংলা প্রায়-অভিভাবকহীন, যেন খোলা রাস্তায় রোদ-বৃষ্টি-শীত-বসন্তে আপন শক্তিতে টিকে-থাকা টোকাই!   আমার কাছে বাংলা একাডেমির ব্যবহারিক বাংলা অভিধান আছে। অভিধানটির প্রথম প্রকাশ : স্বরবর্ণ অংশ – ১৯৭৪, ব্যঞ্জনবর্ণ অংশ – ১৯৮৪। [লক্ষ করুন, মাঝখানে ১০ বছর।] দ্বিতীয় সংস্করণ : ১৯৯২। [মাঝখানে ৮ বছর।] পরবর্তী সংস্করণ - যাকে বাংলা একাডেমি তৃতীয় সংস্করণ বলা থেকে সংগত কারণেই বি

ভাষা নিয়ে ভাসা / মুস্তফা কামরুল আখতার - শুবাচ

Image
ভাষা নিয়ে ভাসা তুর্য : আই কান'ট বিয়ার এনিমোর ! চিন্তার গ্যাপ, আন্ডারস্ট্যান্ডিং প্রবলেম ... ও, বাংলায় বলি, তোমাকে আমি বহন করতে পারছি না, আলো ! আলো : আশ্চর্য ! আপনি আমাকে বহন করবেন কেন ? আমাকে বহন করবে আমার সেই ... আমার ডার্লিং ! তুর্য : ওহ ! এই বহন সেই কাঁধে নেয়া বহন নয় ... বলে না, ক্যারি অন ... বলতে চাইছি, তোমার ছেলেমানুষী, অভিমান-চাপ তার আমি ক্যারি করতে পারছি না ! আলো : পাগল, আপনি একটা পাগল ... সবাক মানুষ ৷ কথা বলার ক্ষমতা ও বুদ্ধিবৃত্তি ( rationality ) আছে ৷ কিন্তু, তারই সবচে' বড় সমস্যা হল কথা বলার সীমিত সাধ্য ! 'ভাই রিকশা, বিশ্ববিদ্যালয় যাবেন ? ইয়ে ... মানে, বলছিলাম ... ইউনিভার্সিটি যাবেন ?' 'এতক্ষণে ! লাইনে আহেন, বাংলায় ক'ন ...'

গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি / ড. মোহাম্মদ আমীন - শুবাচ

গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি ‘গ্যারান্টি (Guarantee)’ শব্দের সর্বজনীন ও সহজবোধ্য প্রতিশব্দ বাংলায় আছে কি না জানা নেই। বাংলা একাডেমি ‘ইংলিশ টু বেঙ্গলি ডিকশনারি’তে এর প্রতিশব্দ দেওয়া হয় নি। যা দেওয়া হয়েছে সেটি সংজ্ঞার্থ : ‘কারও বা কোন কিছুর জন্য লিখিত অঙ্গীকার প্রদান করা’; সংক্ষেপে : ‘জামিন হওয়া’। সাধারণভাবে বলা যায় গ্যারান্টি অর্থ : জামিন হওয়া। একই অভিধানে আইনের ক্ষেত্রে গ্যারান্টি শব্দের ভিন্ন অর্থ দেওয়া হয়েছে: ‘যে কোন লেনদেনে স্বীকৃতি শর্তাবলী পূরণের (সাধা, লিখিত বা ম ুদ্রিত) অঙ্গীকার’ বা ‘জামিন’। গ্যারান্টি শব্দের মতো ‘ওয়ারেন্টি (Warranty)’ শব্দেরও যুতসই প্রতিশব্দ বাংলায় নেই। একই অভিধানে ‘ওয়ারেন্টি’ শব্দের অর্থ বলা হয়েছে: ‘সরবরাহকৃত ত্রুটিযুক্ত পণ্যসামগ্রী মেরামতের বা বদলে দেবার লিখিত কৃতত্ব।’ এটি সংজ্ঞার্থ, প্রতিশব্দ নয়। উপযুক্ত প্রতিশব্দের অভাবে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় ‘গ্যারান্টি’ ও ‘ওয়ারেন্টি’ শব্দ দুটোই ব্যবহৃত হয়। শব্দ দুটোর পার্থক্য অনেকে বুঝেন কিন্তু উপযুক্ত বাংলা প্রতিশব্দ অনেকের জানা নেই।

বই মেলায় দ্বিতীয় দিন / সালাহুদ্দীন মাসউদ -শুবাচ

Image
বই মেলায় আমার দ্বিতীয় দিন  ২২ ফেব্রুয়ারি’১৪। এবারের বই মেলায় ২য় বারের মতো আমার পদচারণা। অত্যন্ত মধুর এক স্মৃতি তৈরি হলো আজ। বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক ডমুহাম্মাদ আমীনস্যারের সাথে সাক্ষাৎ হলো। অনেক উঁচু মাপের গবেষক ও লেখক, এটা জানতাম। ফেসবুক ফ্রেন্ড তিনি। মাঝে মাঝে চ্যাট হতো। কথা হয়েছে দুয়েকবার। কিন্তু আজ তিনি যখন আমার চোখের সামনে এলেন, আমি নতুন একটি বিষয় জানতে পারলাম। তিনি শুধুমাত্র উঁচুমা নের লেখকই নন, তিনি একজন উঁচু মানের মানুষও বটে। অত্যন্ত বিনয়ী ও সরল তিনি। গতিধারা থেকে প্রকাশিত তার লেখা ‘ জেলা , উপজেলা, ও নদ-নদীর নামকরণের ইতিহাস’ বইটি কিনলাম। অসাধারণ একটি রচনা। গবেষণামূলক রচনা। স্যারের লেখা ‘হাসতে হাসতে বাংলা শেখা’ ও ‘আন্তর্জাতিক দিবস’ নামক আরো দু’টি বই কিনলাম। আরো একটি বই খুব খুঁজলাম। শেষ হয়ে গেছে। বইটির নাম ‘ বানান ভুল : কারণ ও প্রতিকার’। স্যারের সাথে বেশ সময় কাটালাম। সাথে ছিলো স্যারের ছেলে আবীর মীম ও পিচ্চি মেয়েটা। ওরা খুব ভালো। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, স্যারের ক্লাস এইটের ছেলে আবীরের তিনটি পুস্তক এখন বাজারে। বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। ওক

বাংলা ভাষা ও তার অভিমুখ! / শ্রুভ্র ভট্টাচার্য (শ্রীশুভ্র) - শুবাচ

Image
বাংলা ভাষা ও তার অভিমুখ!  বাংলাভাষার উদ্ভব থেকে আজ পর্য্যন্ত সময়কাল অব্দি শতাব্দীর পর শতাব্দী অনেক ভাষার প্রভাব এই ভাষার উপর পড়েছে তবু বাংলা ভাষা নিজের পায়ের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে আজও! ফলে একথা বলাই যেতে পারে বাংলাভাষা সহজে বিলুপ্ত হয়ে যাবে না! সত্যি! কিন্তু তবু এই ভাষার ভবিষ্যত কতটা উজ্জ্বল? অনেকেই হয়তো এই প্রশ্নকে অপ্রাসঙ্গিগ বলে হেসে উড়িয়ে দেবেন! কিন্তু বর্তমান আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির রূপরেখায় এই প্রসঙ্গটি কতটা প্রসঙ্গিক সেটা বুঝে নেবার সময় এসেছে আমাদের! যে কোনো ভাষার গতি প্রকৃতি নির্ভর করে মূলত সেই দেশের দেশবাসির মতিগতির উপর! সেই দেশের আবহমান ঐতিহ্যের সাথে বিশ্বের সমকালীন আধুনিকতার নিরন্তর দেওয়া নেওয়ার উপর! বাংলাভাষার বর্তমান অবস্থাটা এবারে একটু ভালো করে দেখা যাক! বাংলার দূর্ভাগ্য আজ ছয় দশকের উপর বাঙলাভাষী অঞ্চলটি চারটি ভাগে বিভক্ত! স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারতের অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অসম এর বরাক উপত্যাকা! বাংলাদেশের মুখ্য সরকারী ভাষা অবশ্যই বাংলা! সেখানে বাংলাভাষা জাতীয় গৌরবে অধিষ্ঠিত! সে প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে! কিন্তু