বিশেষণ পদ লেখার নিয়ম / ড. মোহাম্মদ আমীন
বিশেষণ পদ লেখার নিয়ম: বিশেষণ পদ অন্য পদের অর্থকে বিশদ বা সীমিত করার মাধ্যমে বিশেষিত করে। সমাসবদ্ধ না হলে বিশেষণ পদ সবসময় ফাঁক রেখে অন্য পদের পাশে বসবে। যেমন: মেধাবী ছাত্র, পশ্চিম দিগন্ত, সোনালি ফসল, সব ছাত্র, অনেক লোক, গোটা সমাজ, প্রধান অতিথি, মূল কারণ, সেই দিন, এক টাকা, চার মাস, নয় বস্তা, আধ গজ, সিকি চামচ, প্রথম স্থান, মোগলাই পরাটা, নজরুল সংগীত, ওই কথা, এই ছেলেটা, কাঠের পুতুল, পড়ার ঘর, বাতির আলো, কত লোক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, সবচেয়ে দামি। তবে সমাসবদ্ধ শব্দে বিশেষণ ও বিশেষ্যের মধ্যে ফাঁক থাকে না। যেমন: খাসকামরা, চিরজীবন, নবজাতক, দীর্ঘনিঃশ্বাস, ঘনবস্তু, প্রত্যক্ষপ্রমাণ, বড়লাট, বিগতযৌবন, বিকৃতমস্তিষ্ক, ভগ্নদশা, রাজপথ, তেমাথা।