Posts

Showing posts from August, 2014

বিশেষণ পদ লেখার নিয়ম / ড. মোহাম্মদ আমীন

বিশেষণ পদ লেখার নিয়ম: বিশেষণ পদ অন্য পদের অর্থকে বিশদ বা সীমিত করার মাধ্যমে বিশেষিত করে। সমাসবদ্ধ না হলে বিশেষণ পদ সবসময় ফাঁক রেখে অন্য পদের পাশে বসবে। যেমন: মেধাবী ছাত্র, পশ্চিম দিগন্ত, সোনালি ফসল, সব ছাত্র, অনেক লোক, গোটা সমাজ, প্রধান অতিথি, মূল কারণ, সেই দিন, এক টাকা, চার মাস, নয় বস্তা, আধ গজ, সিকি চামচ, প্রথম স্থান, মোগলাই পরাটা, নজরুল সংগীত, ওই কথা, এই ছেলেটা, কাঠের পুতুল, পড়ার ঘর, বাতির আলো, কত লোক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, সবচেয়ে দামি। তবে সমাসবদ্ধ শব্দে বিশেষণ ও বিশেষ্যের মধ্যে ফাঁক থাকে না। যেমন: খাসকামরা, চিরজীবন, নবজাতক, দীর্ঘনিঃশ্বাস, ঘনবস্তু, প্রত্যক্ষপ্রমাণ, বড়লাট, বিগতযৌবন, বিকৃতমস্তিষ্ক, ভগ্নদশা, রাজপথ, তেমাথা।

ণত্ব বিধান / অনিন্দ্য বড়ুয়া- শুবাচ

শর্ত - বিহীন ণ - ত্ব বিধান অণিমা আপণ খুলে ডাকে কণিকারে কণিকা গণিকা তাই সরে থাকে দূরে , কল্যাণ শুনিয়া ছিল চাণক্যের বাণী - নিপুণ বণিক পাবে অণিমার পাণি , বাণিজ্য বিপণী তার মণি - মাণিক্যের শাণিত শোণিতধারী বংশ গরবের , গৌণ হয় পণ্য যত কল্যাণের কাছে কঙ্কণে নিক্কণ তুলে কণা যবে নাচে ; লাবণ্যতে শ্রেষ্ঠা তন্বী বীণা যবে যায় বেণীদ্বয় ফণী হয়ে আজানু গড়ায় , যতগুণীগণ কহে করিয়া গণনা - তুণে থাক প্রেম - বাণ হৃদয়ে ছুঁড়োনা , রক্ত অণুতে যার বেজে ওঠে বেণু ঘাঁটিতে চিক্কণ ঘুণ হয়ে থাকে স্থাণু লবণ জমাট বাধে দু ’ আঁখির কোণে ; ফণাতোলা সর্প তারে ছাড়ে পূর্ব পূণ্যে । ভবিষ্য ভাবিয়া কল্যাণ করে তাই পণ সব ছেড়ে বাণ্যিজেই দিবে তার মন । ণ - ই হবে , লিখ যদি - শণ , কাণ , শোণ । ( ণ - ত্ব বিধানের শর্ত ছাড়াও যেসব বানানে ‘ ণ ’ হবে তা কবিতায় ধরতে চেষ্টা করেছি । কাব্য সৌন্দর্য্ খুঁজতে গেলে আমি ফেল ) ।