Posts

Showing posts from April, 2016

অভিধানে শব্দের পর ব্যবহৃত সংকেতের ব্যাখ্যা / ড. মোহাম্মদ আমীন

অক্রি > অসমাপিকা ক্রিয়া অনু > অনুকারক শব্দ, শব্দদ্বৈত অব্য > অব্যয় অব্যয়ী. > অব্যয়ীভাব সমাস আক্ষ. > আক্ষরিক আল. > আলঙ্কারিক উপ. > উপসর্গ একব > একবচন কর্মধা. > কর্মধারয় সমাস ক্রি > ক্রিয়া ক্রিবি > ক্রিয়া-বিশেষ্য ক্রিবিণ > ক্রিয়া-বিশেষণ ক্লীব. > ক্লীবলিঙ্গ তৎ. > তৎপুরুষ সমাস তুল. > তুলনীয় দ্বন্দ্ব. > দ্বন্দ্ব সমাস দ্বিগু. > দ্বিগু সমাস ধ্বন্যা. > ধ্বন্যাত্মক নতৎ. > নঞ্ তৎপুরুষ সমাস নিত্য. > নিত্য সমাস পু. > পুংলিঙ্গ প্রব. > প্রবচন বহু. > বহুব্রীহি সমাস বহুব > বহুবচন বাগ. > বাগবিধি বি > বিশেষ্য বিণ > বিশেষণ বিবিণ > বিশেষ্যের বিশেষণ বিণ-বিণ > বিশেষণের বিশেষণ বিপ. > বিপরীতার্থক শব্দ ব্য. > ব্যঙ্গার্থ ব্যা. > ব্যাকরণ মধ্য. > মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস সং. > সংক্ষেপ সচ. > সচরাচর   সম্বো. > সম্বোধনে   সম্মা. > সম্মানসূচক সর্ব > সর্বনাম স্ত্রী. > স্ত্রীলিঙ্গ   [সূত্র : অভিধান ব্যবহার নির্দেশিকা, বাংলা এ

বাংলা ভাষার শব্দসম্ভার / ড. মোহাম্মদ আমীন

বাংলা ভাষার শব্দসম্ভার  সাধারণভাবে মনে করা হয়, বাংলা ভাষায় প্রায় দেড় লাখ শব্দ রয়েছে। এ শব্দগুলোর সব অভিধানভুক্ত নয়। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের মতে, বাংলা ভাষায় শব্দের সংখ্যা দুই লাখের অধিক। আবার অনেকে মনে করেন, এ সংখ্যা কমপক্ষে চার লাখ। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় অভিধান জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের ‘বাংলা ভাষার অভিধান’ প্রকাশিত হয় । এখানে প্রায় ৭৫ হাজার বাংলা শব্দ সংকলিত হয়। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণে শব্দসংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় এক লক্ষ পনের হাজার । ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে অভিধান প্রণয়নের জন্য বাংলা একাডেমি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এ কমিটিতে ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মুনীর চৌধুরী, অজিত কুমার গুহ ও আহমদ শরীফের মতো পণ্ডিতবর্গ। সামসময়িক আরও অনেক বিশেষজ্ঞকেও এ প্রয়াসের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ড. মুহম্মদ এনামুল হকের সম্পাদনায় স্বরবর্ণ অংশ, ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক শিবপ্রসন্ন লাহিড়ীর সম্পাদনায় ব্যঞ্জনবর্ণ অংশ এবং ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে অখণ্ড পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ ‘বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান’ নামে প্রকাশিত হয়। ২০০০ খ্রিস্টা

ভালোবাসি তরকারির প্রতিক্রিয়া / প্রতিক্রিয়া

বউ, আমি তোমায় ভালবাসি। ভাল আমার ভালো, তোমার মতো বউ পেয়েছি। আশা করি, তোমার বাবার পণের টাকায় কেনা ভালোবাসায় খুব ভালো আছ।  তোমার মতো তোমার রান্না করা কোনো কিছু বাসি হতে পারে না। এজন্য তোমাকে কখনও ভালোবাসি বলি না, বলি ‘ভালবাসি’।চার দিন আগে  রান্না-করা বাসি তরকারিটা ভালোবাসি বলে ভালবেসে খেয়ে ফেলেছিলাম।  অনেকের ন্যায় তুমিও ‘ভালোবাসি’ আর ‘ভালবাসি’ শব্দের বানান  নিয়ে অত মাথা ঘামাও না। অন্য কেউ হলে তোমার এ ভালোবাসি তরকারিটাকে বলতো,  ‘মারাত্মক বাসি’। তবে তোমার ভালোবাসার ভালো চুলায় সামান্য  ভালবাসা দিয়ে ভালোভাবে রান্না করা ভালোবাসি তরকারি  খেয়ে আমার পেটের অবস্থা ভালো না। ভালবেসে খেলেও ভালোবাসি  খাবার খাওয়ার ফল কখনও ভালো হয় না। ভালে কষ্ট থাকলে  ভালোবাসি খাবার খেয়েও ভালোবাসা ছেড়ে হাওয়া বদলের  জন্য ছুটতে হয়। আমি চললাম - তোমার ভালবাসায় স্নিগ্ধ  ভালোবাসার ভালো হাওয়া থেকে দূরে থাকব কয়েকদিন;  ভালোবাসি তরকারির প্রতিক্রিয়া মুক্ত করে তবেই ফিরব।  ততদিন তুমি ভালো থেক।কলাপাতায় লেখা  আমার চিরকুটখানি ভালোবাসি হওয়ার আগে ফেলে দিও।

হযরত ও হুজুর -অর্থহীন শব্দ / তাহের আলমাহদী

Taher Almahdi 6 hrs  ·  Facebook Groups for Android ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজি মাস্টার ডিগ্রির পরিবর্তে মাওলানা শব্দটির ব্যবহার শুরু, যার অর্থ আমাদের প্রভু বা আমাদের ক্রীতদাস৷ তেমনি ব্যাচেলর ডিগ্রির পরিবর্তে মওলঈ/মৌলবী শব্দের ব্যবহার৷ মৌলবী অর্থ হচ্ছে, আমার প্রভু বা আমার ক্রীতদাস৷ দুটি শব্দের মূল হচ্ছে মাওলা, যার সাথে না ও ঈ সর্বনাম দুটি প্রত্যয় হিসেবে যুক্ত হয়ে মাওলানা, মৌলবী শব্দদ্বয়ের জন্ম দিয়েছে৷ বিপরীতার্থক এই শব্দগুলোর পক্ষে সাফাই গেয়ে অনেককেই বলতে শুনি, মাওলা শব্দের আশিটির বেশি অর্থ আছে৷ এখন আর উচ্চশিক্ষিত হয়ে পথপ্রদর্শক প্রভু হয় না, সংসদে অস্টম শ্রেণী পাশ প্রধানমন্ত্রীকেও আমরা দেখেছি, মন্ত্রী-এমপির কথা বাদই দিলাম৷ আর ক্রীতদাসের যুগ পেরিয়ে এসেছি সেই কবে! এরকম দুটি শব্দ হুজুর ও হযরত৷ ফার্সি হাজির আর আরবী হাদির, উচ্চারণে বৈপরিত্য থাকলেও বানান এবং উৎপত্তি একই৷ এই হাজির হতেই হুজুর শব্দের উৎপত্তি, হুজুরের স্ত্রী লিঙ্গ হযরত৷ মোঘল হেরেমে শব্দ দুটির উৎপত্তি৷ সম্রাট হাজির, সম্রাজ্ঞী হাযির নকিবের এই ঘোষণা বিকৃতিই হুজুর সম্রাট, হযরত সম্রাজ্ঞী শব্দের জন্ম৷ এর সাথে রাজকীয়

শুভঙ্করের ফাঁকি / ড. মোহাম্মদ আমীন

১৭২৯ খ্রিস্টা্ব্দে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার কোনো একটি অঞ্চলে, মতান্তরে বাকুড়া জেলায় ভৃগুরাম দাস নামের একজন গণিতজ্ঞ ছিলেন। তার পিতার নাম ছিলেন গঙ্গারাম দাস। গঙ্গারাম ছিলেন স্বভাবকবি এবং পাঠশালার বাংলা-পণ্ডিত। বিদগ্ধ সমাজে তার বেশ সুনাম ছিল। ভৃগুরাম দাস পিতার ন্যায় ছোটবেলা থেকে ছড়া কাটতে শেখে যান। তবে পাঠশালায় গণিত শেখার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের কষ্ট ও ভীতি দেখে ভৃগুরাম তা দূরীভূত করার চিন্তাভাবনা শুরু করেন। অনেকে চিন্তার পর তিনি এর একটি উপায় খুঁজে পান। ভৃগুরাম, ছড়াকে গণিত শেখার উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করে আনন্দের মাধ্যমে শিশুদের গণিত শিক্ষা দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ লক্ষ্যে তিনি পাটিগণিতের অনেক জটিল নিয়ম শিশুদের জন্য সরল আর্যায় বা এক প্রকার বিশেষ ছন্দোময় ছড়া-কবিতায় পরিবর্তন করেন।কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ভৃগুরামকে তৎকালীন পণ্ডিত সমাজ “শুভঙ্কর” উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি গল্প ও ছড়ায় ছড়া শিক্ষার অজুহাতে ফাঁকি দিয়ে বেশ আনন্দের মাঝে গণিত শেখাতেন। এজন্য তার গণিত শেখানোর কৌশলকে অনেকে বলতেন : শুভঙ্করের ফাাঁকি। তাঁর কয়েকটি সরল আর্যা উত্তরসহ নিচে দেওয়া হলো: ১. সরোবরে বিকশিত ক

মং শব্দের অর্থ / ড. মোহাম্মদ আমীন

'মং দশ হাজার টাকা'- এ বাক্যে 'মং' অর্থ কী? মং এর পূর্ণরূপ "মবলগ বা মোট।" বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান [প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ২০১৬]  অনুযায়ী: মবলগ /মব্‌লগ্‌/ [আ.] বিণ. ১ নগদ। ২ মোট। ক্রিবিণ. সাকুল্যে, একুনে।" বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আরবি ফারসি উর্দু শব্দের অভিধান [সংকলন ও সম্পাদনা: ড. মোহাম্মদ হারুন রশিদ, বাংলা একাডেমি ঢাকা, প্রথম প্রকাশ: জ্যৈষ্ঠ ১৪২২/মে ২০১৫]  অনুযায়ী : মবলগ বিণ. ১. মোট; থোক। ২. নগদ। [আ. মবলগ مــبــلــغ]" Bangla Academy Perso-Arabic Elements in Bengali (বাঙ্‌লায় ফারসী-আরবী উপাদান) [by Dr. Shaikh Ghulam Maqsud Hilali, First Published: January 1967, First Reprint: December 2002] গ্রন্থে উল্লেখ আছে: "মবলগ - [Ar. mablagh] sum; total; ready money; cash.