Posts

Showing posts from February, 2014

বর্ণপরিচয় / ড. মোহাম্মদ আমীন - শুবাচ

বর্ণ পরিচয় বর্ণপরিচয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত বাংলা বর্ণশিক্ষার প্রাথমিক পুস্তিকা। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিলে প্রকাশিত হয় বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ এবং একই বছর জুনে প্রকাশিত হয় বর্ণপরিচয় দ্বিতীয় ভাগ। প্যারীচরণ সরকার ও বিদ্যাসাগর একদা সিদ্ধান্ত করেন যে, তাঁরা ইংরেজি ও বাংলায় বর্ণশিক্ষা বিষয়ক প্রাথমিক পুস্তিকা লিখবেন। তদনুসারে প্যারীচরণ First Book of Reading এবং বিদ্যাসাগর ‘বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ’ প্রকাশ করেন। বিদ্যাসাগর মফস্বলে স্কুল পরিদর্শনে যাওয়ার সময় পালকিতে বসে বর্ণপরিচয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছিলেন। দুই পয়সা মূল্যের এই ক্ষুদ্রাকার পুস্তিকার প্রকাশ ছিল বাংলার শিক্ষাজগতে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই পুস্তিকায় বিদ্যাসাগর বাংলা বর্ণমালাকে সংস্কৃত ভাষার অযৌক্তিক শাসন থেকে মুক্ত করে যুক্তি ও প্রায়োগিক বাস্তবতায় বর্ণমালার সংস্কার-সাধনে প্রবৃত্ত হন। আজকের দিনে বর্ণক্রমিক ভাষাশিক্ষার পরিবর্তে বাক্যক্রমিক পদ্ধতি চালু হয়েছে। শিশুর ভাষা শেখার যে স্বাভাবিক পদ্ধতি তার ওপর ভিত্তি করেই দেশে-বিদেশে এ পদ্ধতি গৃহীত হয়েছে। শতাধিক বছরব্যাপী শিশুর প্রথম পাঠ হিসেবে এ বইটি প্রায় একচ্ছত্র প্রাধ

জীবনানন্দ দাশ / ড. মোহাম্মদ আমীন- শুবাচ

 জীবনানন্দ দাশ জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগণা অধিবাসী। তাঁর পিতামহ সর্বানন্দ দাশগুপ্ত (১৯৩৮-৮৫) বিক্রমপুর থেকে এসে বরিশালে বসবাস শুরু করেছিলেন। সর্বানন্দ দাশগুপ্ত ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নিয়েছিলেন। জীবনানন্দের পিতা সত্যানন্দ দাশগুপ্ত (১৮৬৩-১৯৪২) ছিলেন বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের শিক্ষক। প্রাবন্ধিক, বরিশাল ব্রাহ্ম সমাজের সম্পাদক এবং ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক হিসেবেও সত্যানন্দ দাশগুপ্ত খ্যাত ছিলেন। জীবনানন্দের মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন বিখ্যাত কবি। বিখ্যাত কবিতা ‘আদর্শ ছেলে’ “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড়ো হবে ---” কবিতার লেখক ছিলেন জীবনানন্দ দাসের মা কুসুমকুমারী। জীবনানন্দ ছিলেন পিতামাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান। ডাকনাম ছিল মিলু। তার ভাই অশোকানন্দ দাশ ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে এবং বোন সুচরিতা দাশ ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে আট বছরের মিলুকে ব্রজমোহন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করানো

স্বরস্বন্ধি / ড. মোহাম্মদ আমীন

Image
স্বরসন্ধি স্বরসন্ধি/১ স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বলে। সূত্র/১. অ বা আ-এর পর অ বা আ থাকলে উভয়ে মিলে আ হয়। এই আ মূলত /আ-কার/রূপে পূর্বের বর্ণের সাথে মিলিত হয়। যেমন: অ + অ = আ (পল+ অন্ন= পলান্ন) অ + আ = আ (পরম + আনন্দ = পরমানন্দ) আ + অ = আ (আশা + অতিরিক্ত = আশাতিরিক্ত) আ + আা = আ (বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়) স্বরসন্ধি/২ স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বলে। সূত্র/২. ই-কার বা ঈ-কারের পর ই-কার বা ঈ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঈ-কার হয়। ঈ-কার (ী) পূর্ব বর্ণে যুক্ত হয়। যেমন: ই + ই = ঈ (রবি +ইন্দ =রবীন্দ্র) ই + ঈ = ঈ (প্রতি + ঈক্ষা = প্রতীক্ষা) ঈ+ ই = ঈ (সুধী + ইন্দ্র = সুধীন্দ্র) ঈ + ঈ = ঈ (সতী + ঈশ = সতীশ) স্বরসন্ধি/৩ স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বলে। সূত্র/৩. উ-কার বা ঊ-কারের পর উ-কার বা ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঊ-কার হয়। ঊ-কার (ূ) পূর্ব বর্ণে যুক্ত হয়। যেমন: উ + উ = ঊ (কটু + উক্তি = কটূক্তি) উ + ঊ = ঊ (লঘু + ঊর্মি = লঘূর্মি) উ+ ঊ = ঊ ( বধূ + উৎসব = বধূৎসব) ঊ + ঊ = ঊ ( ভূ + ঊর্ধ্ব = ভূর্ধ্ব) স্বরসন্ধি/৪ স্বরধ্বনির সঙ্গ

সংশয়াবৃত শব্দ, পড়েই করুন জব্দ / ড. মোহাম্মদ আমীন

সংশয়াবৃত শব্দ, পড়েই করুন জব্দ সমোচ্চারিত শব্দে ‘ঋ-কার ও র-ফলা ঈ ধ্বনি-জনতি’ অর্থ-ভিন্নতা বানানে প্রায়শ জটিলতার সৃষ্টি করে। নিচের শব্দ-দম্পতিগুলো দেখুন। শব্দ-দম্পতিদের বানান ও অর্থে পার্থক্য থাকলেও উচ্চারণ অভিন্ন। ঠিক স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার মত। তারা যতই ঝগড়া করুক, অন্যের বেলায় কথা বলে অভিন্নসুরে। তাই প্রকৃত অবস্থা জানতে একটু কষ্ট হতেই পারে। মন দিয়ে চোখ বুলিয়ে নিন। সংশয় থাকবে না। অকৃত: যা করা হয়নি। অক্রীত: যা ক্রয় করা হয়নি। কৃত: যা করা হয়েছে। ক্রীত: যা ক্রয় করা হয়েছে। বিকৃত: বিকারপ্রাপ্ত, আংশিক নষ্ট, শ্রীভ্রষ্ট বিক্রীত: যা বিক্রি করা হয়েছে। অভিনেতৃবর্গ: অভিনেতাগণ অভিনেত্রীবর্গ: স্ত্রী অভিনেতাগণ নেতৃবর্গ: নেতাগণ নেত্রীবর্গ: মাহিলা নেতাগণ মাতৃক: মা-বিষয়ক মাত্রিক: মাত্রাযুক্ত কর্তৃ: যিনি কর্ম সম্পাদন করেন কর্ত্রী: কর্ম সম্পাদনকারিণী। ধাতৃ: বিধাতা ধাত্রী: ধাই সবিতৃ: সূর্য সবিত্রী: পৃথিবী

কালী কিন্তু কালিদাস / ড. মোহাম্মদ আমীন - শুবাচ

Image
কালী কিন্তু কালিদাস, কালীনাম কিন্তু কালিমাতা উ-কার এর পর দীর্ঘ ঊ-কার। তেমনি দুর্গার পর পূজা। তাই দুর্গায় উ-কার, পূজায় ঊ-কার। দুর্গা পূজার পর লক্ষ্মী পূজা। লক্ষ্মীর ক্ষ-তে ‘ম’ ও ঈ-কার না দিলে লক্ষ্মী কোন মঙ্গল করে না। লক্ষ্মীর পর কালী পূজা। কালীতেও দীর্ঘ ঈ-কার। লক্ষ্মী ও কালীর মত ভগবতী, সরস্বতী, জগদ্ধাত্রী, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ধূমাবতী, মাতঙ্গী, চণ্ডী, গৌরী, ষষ্ঠী, পঞ্চমী- সবাই দীর্ঘ ঈ-কার বহন করে। কালীমূর্তি, কালীমন্দির, কালীপট, কালীক্ষেত্র, কালীঘাট, কালীনাম, কালীতলা, কালীসেবা, কালী-আরাধনা সবখানে দীর্ঘ ঈ-কার। কিন্তু কবির বেলায় কালিদাস। কেন? ‘কালী’ শব্দের পর দাস এলে দীর্ঘ ঈ-কার ভয়ে পালিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে ‘কালী’ হ্রস্ব ই-কার মহাশয়কে সঙ্গে নিয়ে কালিদাস হয়ে যায়। যেমন: কালিদাস, কালিদাস কান্ত, কালিদাস ভট্টাচার্য, কালিদাস রায়, কালিদাস নাগ ইত্যাদি। একটা মজার কথা, চণ্ডির সাথে দীর্ঘ ঈ-কার ও হ্রস্ব ই-কার ‍দুটোই চলে। যেমন: চণ্ডীদাস, চণ্ডিদাস। তবে চণ্ডীর পর দাস না থাকলে চণ্ডী সবসময় দীর্ঘ ঈ-কার নিয়ে চলে। যেমন: চণ্ডীচরণ, চণ্ডীপাঠ, চণ্ডীপ্রসাদ, চণ্ডীপদ। কিন্তু দোয়

আগামী ও গত; কাল ও ক্ষণ / ড. মোহাম্মদ আমীন

আগামী ও গত ‘আগামী’ ও ‘গত’ শব্দের পরের শব্দ সর্বদা পৃথক বসবে। যেমন: আগামী কাল, আগামী দিন, আগামী পরশু, আগামী বছর, আগামী বার, আগামী মাস, গত কাল, গত দিন, গত বছর, গত বার, গত মরশুম, গত রাত, গত মাস, গত জীবন ইত্যাদি। কাল/ক্ষণ ‘কাল’ ও ‘ক্ষণ’ শব্দের পূর্ববর্তী বিশেষণ পৃথক বসে না,একত্রে বসে। যথা: (একাল, এক্ষণ), (এতকাল, এতক্ষণ), (কতকাল, কতক্ষণ), (ততকাল, যতক্ষণ), (বহুকাল, বহুক্ষণ), (কিছুকাল, কিছুক্ষণ) ইত্যাদি। ‘এত, তত, অনেক, কয়েক, যত, বহু, কত, কিছু’ ইত্যাদির পরে ‘কাল এবং ক্ষণ’ ছাড়া অন্য শব্দ যুক্ত হলে তা পৃথক বসবে। যথা: এত দিন, কত দিন, তত দিন, কত বছর, বহু দিন, অনেক সময়, এত লোক, কত টাকা, কিছু দিন ইত্যাদি। এ প্রসঙ্গে শাহিদুল হকের ছড়াটি বেশ মজার আগামী আর গত কাল আগামী আর গত কালে কাল যে থাকে দূরে বানান দুটো রাখতে মনে যাচ্ছে মাথা ঘুরে। সমাস বল সন্ধি বল কাছে টানে তারা শব্দ দেখে প্রেমের নেশায় হয় যে আত্মহারা। তাই বলে কি সবাই থাকে সবার মনের কাছে ? থাকতে দূরে ভালবাসে এমন শব্দও আছে। এদের মধে আগামীটা গত কালের

বিনা ও ব্যাপী / ড. মোহাম্মদ আমীন- শুবাচ

‘বিনা’ পৃথক বসে: ‘বিনা’ শব্দটি পরবর্তী সম্পর্কিত শব্দ হতে পৃথক বসবে। যেমন: বিনা যুদ্ধে, বিনা কষ্টে, বিনা ব্যয়ে বিনা পরিশ্রমে ইত্যাদি। ব্যাপী: ‘ব্যাপী’ শব্দ বিশেষণ হলেও সমাসবদ্ধ পদ হিসেবে এর ব্যবহার। সমাসবদ্ধ পদ সর্বদা সংশ্লিষ্ট শব্দের সাথে সেঁটে বসে। তাই ‘ব্যাপী’ শব্দ সম্পর্কিত পদের সাথে সেঁটে বসে। যেমন: জীবনব্যাপী, দিনব্যাপী, পৃথিবীব্যাপী, যুগযুগব্যাপী, শতাব্দব্যাপী, বছরব্যাপী ইত্যাদি। সারা দেশব্যাপী: নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপরের বাক্যে ‘সারা দেশব্যাপী’ বাগ্‌ভঙ্গিটির ব্যবহার দ্বৈত ভুলে দুষ্ট। ‘দেশব্যাপী’ শব্দের অর্থ সারা দেশ। সুতরাং দেশব্যাপী’ শব্দের পূর্বে অযথা পুনরায় ‘সারা’ লেখা বিধেয় নয়।লিখুন: নির্বাচন উপলক্ষে দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ধ্বনি ও অক্ষর / ড. মোহাম্মদ আমীন - শুবাচ

Image
ধ্বনি ও অক্ষর সাধারণ অর্থে অক্ষর বলতে বর্ণ বা হরফকে (Letter) বোঝালেও প্রকৃতপক্ষে ভাষাবিজ্ঞানে অক্ষর ও বর্ণ পরস্পরের প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ নয়। অক্ষর হচ্ছে বাগযন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ । আর বর্ণ বা হরফ হচ্ছে ধ্বনির চক্ষুগ্রাহ্য লিখিত রূপ বা ধ্বনি-নির্দেশক চিহ্ন বা প্রতীক । ইংরেজিতে যাকে Syllable বলা হয় বাংলায় তা-ই অক্ষর । ইংরেজি 'Incident' --এ তিনটি Syllable আছে যেমন 'In - ci - dent ' কিন্তু আলাদাভাবে 'I-n-c-i-d-e-n-t' হচ্ছে বর্ণ । বাংলায় 'বন্ধন' শব্দে ‘বন + ধন’ এ দুটো অক্ষর। কিন্তু 'ব-ন-ধ-ন’ চিহ্ন-চতুষ্টয় অক্ষর নয়; বর্ণ ।

প্রতি, কাছে রাখুন অতি / ড. মোহাম্মদ আমীন -শুবাচ

Image
           প্রতি, কাছে রাখুন অতি ‘প্রতি’ শব্দে যদি ব্যাপ্তি বোঝায়, তা হলে এর পূর্ববর্তী বা পরবর্তী শব্দ পৃথক বসবে না। যেমন: প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত, প্রতিবছর, প্রতিবার, প্রতিমাস, প্রতিমুহূর্ত ছাত্রপ্রতি, জনপ্রতি, লেখাপ্রতি, বছরপ্রতি, বিঘাপ্রতি, দ্রব্যপ্রতি, বইপ্রতি ইত্যাদি। ‘প্রতি’ শব্দের অর্থ /উদ্দেশ্য বা লক্ষ/ বোঝালে পূর্ববর্তী শব্দ পৃথক বসবে। যেমন: দেশের প্রতি ভালোবাসা, গরিবের প্রতি দয়া, ভাষার প্রতি প্রেম ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত প্রথম সাহিত্য প্রবাদ / ড. মোহাম্মদ আমীন- শুবাচ

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত প্রথম সাহিত্য প্রবাদ: ‘বৌদ্ধগান ও দোহা’র মধ্যে ব্যবহৃত প্রবাদগুলোই বাংলা ভাষার প্রথম সাহিত্য প্রবাদ। এরূপ কয়েকটি প্রবাদ নিচে দেয়া হল: ১. হাথেরে কাঙ্কাণ মা লোউ দাপণ। (৩২ নম্বর পদ) অর্থ: হাতের কঙ্কণ আছে কি নেই তা দেখানোর জন্য দর্পণের দিকে না তাকানো। ২. আপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী। (৬ নম্বর পদ) অর্থ: হরিণ তার নিজের মাংসের জন্যই নিজের শত্রুস্বরূপ। ৩. হাড়ীত ভাত নাঁহি নিতি আবেশী। (৩৩ নং পদ) অর্থ: হাঁড়িতে ভাত নেই অথচ নিত্য অতিথি আসে। ৪. দুহিল দুধু কি বেণ্টে যামায়। অর্থ: দোয়ানো দুধ কি বাঁটে প্রবেশ করে। ৫. সরস ভণস্তি বর সুণ গোহালী কিমো দুঠ্য বলন্দেঁ। (৩৯ নম্বর পদ) অর্থ: দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। [উৎস: সুদেষ্ণা বসাক সম্পাদিত ‘বাংলার প্রবাদ’, কলকাতা, ২০০৮]

বাংলা বানানে ‘ঢ়’-এর ব্যবহার / ড. মোহাম্মদ আমীন- শুবাচ

Image
বাংলা বানানে ‘ঢ়’-এর ব্যবহার বাংলা শব্দে ‘ঢ়’ এর ব্যবহার খুব বেশি নয়। হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র।  শব্দগুলো জেনে নিলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। নিম্নবর্ণিত শব্দগুলো উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা হল: অনূঢ়, অনুঢ়া, অব্যূঢ়, আরূঢ়, আষাঢ়, ঊঢ়, গাঢ়, গঢ়, দৃঢ়, নবোঢ়া, নিগূঢ়, প্রগাঢ়, পৌঢ়, বিমূঢ়, ব্যূঢ়, মাঢ়ী, মূঢ়, রাঢ়, রূঢ়, দৃঢ় ইত্যাদি।

শুুবাচ এডমিন: আপনার বাড়ছে দায় / সৈয়দ ইবনে রহমত - শুবাচ

ভালো কিছুর প্রতি মানুষের আগ্রহ যে চিরন্তন, এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা দ্রুত বাড়তে দেখে তা মানতেই হচ্ছে। গ্রুপ অ্যাডমিনের এক মন্তব্য থেকে জেনেছি, শুদ্ধ বানান চর্চার এই ডিজিটাল স্কুল হয়েছে গত অক্টোবর মাসের ৩ তারিখ। এখনও দুই মাস হয় নি। অথচ শিক্ষার্থীর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে! এখানে একজন ছাত্র হতে পেরে এখন দারুণ লাগছে। আমার দারুণ লাগছে; কিন্তু জনাব অ্যাডমিন, আপনার বাড়ছে দায়!

না যখন হ্যাঁ / ড. মোহাম্মদ আমীন -শুবাচ

Image
না যখন হ্যাঁ সাধারণভাবে ‘না’ শব্দটি ‘হ্যাঁ’ শব্দের বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে। তাই বাংলা ভাষায় ‘হ্যাঁ’ অস্তিবাচক ও ‘না’ নেতিবাচক বা নঞর্থক শব্দ হিসেবে পরিচিত। তবে ‘না’সবসময় নেতিবাচক নয়। এটি অনেক ক্ষেত্রে অস্তিবাচক শব্দের চেয়েও অধিক ইতিবাচক দ্যোতনা প্রকাশ করে। শুধু তাই নয়, প্রশ্ন ও কারণ জানার ক্ষেত্রেও ‘না’ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। কয়েকটি বাক্য দিয়ে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করা হল: ১. চুপ কেন? কিছু বলো না গো। ২. তুমি না বলে চলে যাচ্ছ, এখনও তো দেখতে পাচ্ছি। ৩. প্লিজ, যাবেন না, আর একটু থাকুন। ৪. তিনি যতট না কবি, তার চেয়ে বেশি প্রাবন্ধিক। ৫. যাবে, তাই না? উপরের বাক্যগুলোয় ব্যবহৃত ‘না’ শব্দটি কোথাও নেতিবাচক নয়, বরং জোরালোভাবে ইতিবাচক। যা ‘হ্যাঁ’ শব্দের চেয়েও অধিক গুরুত্ববহ। তবে প্রথম দুটি বাক্যের সাথে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বাক্যের কিছুটা তফাৎ আছে। যেমন; প্রথম ও দ্বিতীয় বাক্য হতে ‘না’ শব্দটি তুলে দিলেও অর্থের কোন পরিবর্তন হবে না। কিন্তু ভাবানুভূতির কিছু পরিবর্তন ঘটবে। অন্যান্য বাক্যগুলো হতে ‘না’ শব্দটি তুলে দিলে অর্থ ও ভাব দুটোই পরিবর্তন হয়ে যাবে। পঞ্চম বাক্য প্রশ্ন

পণ্ডিতি বাংলা: কেলিকুঞ্চিকার সাথে দ্বারিকালয় / ড. মোাহাম্মদ আমীন - শুবাচ

Image
পণ্ডিতি বাংলা: কেলিকুঞ্চিকার সাথে দ্বারিকালয় প্রধান শিক্ষক: পণ্ডিত মশায়, গতকাল স্কুলে আসেননি কেন? পণ্ডিত: কেলিকুঞ্চিকাকে নিয়ে দ্বারিকালয় গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষক: কোথায় গিয়েছিলেন? পণ্ডিত: এ প্রশ্ন আমি করলে আপনি বলতেন- শালিকাকে নিয়ে শ্বশুরালয় গিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষক: আপনি এত কঠিন করে বললেন কেন? অবোধ্য ভাষায় কথা বলা ঠিক নয়। পণ্ডিত মশায়: শালিকা আর কেলিকুঞ্চিকা এক অর্থ বহন করে না। স্ত্রীর সহোদর ছোটবোন কেলিকুঞ্চিকা। শালিকা বললে স্ত্রীর সহোদর বোনসহ চাচাত-মামাত-ফুপাত এমনকি পাড়াত বোনদেরও বুঝানো হয়। আমি আপনার সাথে তো যেমন তেমন কথা বলতে পারি না। প্রধান শিক্ষক: দ্বারিকালয় অর্থ কী? পণ্ডিত মশায়: গণ্ডমূর্খদের ভাষায় শ্বশুরালয়। প্রধান শিক্ষক: কী? আমি গণ্ডমূর্খ! পণ্ডিত মশায়: রাগেন কেন? শ্বশুরালয় মানে শ্বশুরের আলয়। সেখানে অন্য কেউ নাও থাকতে পারেন। কিন্তু দ্বারিকালয় এমন একটি আলয় যেখানে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি তাদের সন্তান-সন্ততি ও অন্যান্য পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকেন।

বাংলা ভাষায় ভূতের আছর! / বিধুভূষণ ভট্টাচার্য - শুবাচ

বাংলা ভাষায় ভূতের আছর! কে বলেছে ভূত বলে কিছু নেই! দেখুন আপনার আমার চার দিকে কত ভূত! ১. ছাপাখানার ভূত ২. ভূতের বেগার ৩. বাটের কিল ভূতে কিলায় ৪. কিলিয়ে ভূত ছাড়ানো ৫. ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ ৬. ভূতের মুখে রাম নাম ৭. ঘাড়ে ভূত চাপা ৮. দশ চক্রে ভগবান ভূত ৯. পঞ্চভূতে লুটে খাওয়া ১০. সরিষায় ভূত ১১. ভূতের কাঁথা ১২. ভূতপালৈ ১৩. ভুতুড়ে বিল ১৪. ভুতুড়ে ফোন কল ১৫. ভূতের বাতি ১৬. বিয়ের ভূত মাথায় ওঠা ১৭. বিয়ের টাকা ভূতে যোগায় ১৮. ভূত ঝাড়া ১৯. যুক্তি দিয়ে ভূতের ভয় তাড়ানো যায় না। ২০. ভূত দেখা বি.দ্র. ঢাকার ভূতের গলির কথা আর বললাম না সঙ্গত কারণেই!! (নামে একটা হলেও কার্যত বাহান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলির সবগুলিই তো ওদের।)

প্রেমিক যখন রসিক হবে / শহিদুল হক - শুবাচ

প্রেমিক যখন রসিক হবে শব্দ শেষে ইক প্রত্যয়ে অঙ্গ হলে আঙ্গিক তেমনতর বানান লেখায় শব্দ হবে শাব্দিক। অর্থ যখন আর্থিক হবে তত্ত্ব হবে তাত্ত্বিক ধর্ম থেকে ধার্মিক হলে তথ্যগলো তাথ্যিক। পাল্টিয়ে যায় প্রথম বর্ণ অ হয়ে যায় আ-কার ই-কার থেকে এ-কারেতে পাল্টিয়ে হয় ঐ-কার। ইচ্ছা তখন ঐচ্ছিক হবে দিন থেকে হয় দৈনিক চীনকে তখন চিনতে হলে করতে পার চৈনিক। দেহ যখন দৈহিক হবে বেদকে কর বৈদিক হেমন্তটা হৈমন্তিকে রেখাগুলো রৈখিক। তেমন করে উ-কার ও-কার ঔ-কারকে ডাকবে ঊ-কারকে প্রথম দলে আগের মতই থাকবে। উদর তখন ঔদরিকে কুল’টা হবে কৌলিক পুরাণ থেকে পৌরাণিকে কোণটা হবে কৌণিক। ভূতের গল্প ভৌতিক হলে মূলটা হবে মৌলিক যোগকে তখন যৌগিক করে লোককে কর লৌকিক। ব্যতিক্রমের কথাগুলো বলতে পার -ইককে প্রেমিক যখন রসিক হবে থাকবে না এই শিক্ষে। মন্তব্য: শব্দ শেষে –ইক (সংস্কৃত ষ্ণিক) প্রত্যয় যুক্ত হলে বানানে পরিবর্তন আসে। যেমন: ১) শব্দের প্রথমে ‘অ-কার’ থাকলে তা পরিবর্তিত হয়ে ‘আ-কার’ হবে। যেমন: অঙ্গ> আঙ্গিক, শব্দ> শাব্দিক, অর্থ> আর্থিক, তত্ত্ব> তাত্ত্বিক। ২)শব্দের প্রথমে ‘ই-কার’ এবং

কারণে কারণ খাইছে / জাহেরা বেলি- শুবাচ

Image
কারণে কারণ খাইছে এক দেশে এক রাজা ছিল আর তার ছিল এক ছাগল ছানা। রাজা তাকে খুব ভালোবাসত। এক মুহূর্তও চোখের আড়াল করতে চাইত না। রাজ দরবার থেকে অন্দর মহল সবসময় তার পাশেই থাকত ছাগল ছানাটি। রাজকীয় খাবার খেয়ে অল্পদিনেই বেশ নাদুস নুদুস হয়ে গেল ছাগলটি। উজির নাজিরের লোলুপ দৃষ্টি পড়ল ছাগলটির উপর। শুরু হলো ষড়যন্ত্র। একদিন তারা সুযোগ বুঝে ছাগল চুরি করে নিয়ে গেল শাহী খানসামার কাছে। দাবি রান্না করে দিতে হবে। উজির নাজির বলে কথা। রাজি হলো সে। রান্না ঘরে ছাগলকে বেঁধে কাজ করছিল। ছাগলের পাশেই ছিল রান্নার মসলাপাতি। ছাগলকে জবা ই করার জন্য যখন খানসামা দা আনতে গেল, দেখে ছাগল সব মসল্লা খেয়ে ফেলেছে। টাকা চাই। মসল্লা কিনতে হবে।নইলে ছাগল রান্না করা যাবে না। টাকা তো তার কাছে নেই, উজির-নাজিরের কাছে। টাকার জন্য খানাসা উজির নাজিরের খোঁজে রাজ দরবারে  সভাকক্ষে পৌঁছে।   এদিকে রাজা মশাই তার ছাগল না পেয়ে পাগল প্রায়। নির্দেশ ছাগল দরবারে না আসা পর্যন্ত সবাই কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে। খানসামা দরবারে এসে দেখে রাজা ঝিমোচ্ছেন এবং উজির-নাজির দুজনে কান ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। খানসামা  উজির নাজিরে

বাংলায় টাইপিঙের আবশ্যকতা / মোরশেদ হাসান- শুবাচ

Image
 বাংলা টাইপিঙের আবশ্যকতা এখন ফেব্রুয়ারি মাস। এ মাসে বাংলা ভাষা নিয়ে বিশেষ আলোচনা করবো না-এমনটা হতেই পারে না। তাই আজকের আলোচনা- ভাষার বিকৃত প্রয়োগ পরিহার করা। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি লেখাটি একটু রম্যভাবে লেখার জন্য। অন লাইন জগতে এখন বাংলায় টাইপিং এর মাধ্যমে সুন্দরভাবে স্ট্যাটাস ও কমেন্ট লেখা যায় এবং এর গুরুত্বও অনস্বীকার্য। বাংলা বর্ণমালায় টাইপিং করে অনেকেই দক্ষতার সাথে লেখালিখি করে যাচ্ছেন; শুধু প্রয়োজন শেখার মানসিকতা ও তার প্রয়োগমুখী ব্যবহার। তারপরও ব্যবহারিক জীবনে দেখা যায় বৃহত্তর অন লাইন জনগোষ্ঠী এখনও ইংরেজি বর্ণমালা ব্যবহার করে বাংলা ভাষায় কমেন্ট, চ্যাটিং করে যাচ্ছেন। বাংলা হরফে টাইপিং না করে তাঁরা এটাকেই ভেবে বসে আছেন ভাব প্রকাশের চরম উপযোগী মাধ্যম এবং এটা ভাবতে গিয়ে প্রায় সময়ই ভয়াবহ বিপত্তি বাধিয়ে বসছেন। ইংরেজি বর্ণমালা ব্যবহার করে বাংলা লেখাকে অনেকে আবার ‘মুরাদ টাকলা’ বলে থাকেন। যাঁরা মুরাদ টাকলার কাহিনী জানেন না তাঁদের জন্য সংক্ষেপে বলছি। একদা জনৈক ব্যক্তি কমেন্ট করেছিলেন, “Murad takla jukti diya bal” অর্থাৎ মুরোদ থাকলে যুক্তি দিয়ে বল। সেই থেকে এ

শুবাচ / শহিদুল হক

Image
            শুবাচ/ শহিদুল হক থাকলে টাকা পদ-পদবি জীবন হবে শুদ্ধ তখন কেন শুবাচ করা অহেতুক এই যুদ্ধ। উঁচু-নীচু ধনী-গরীব প্রভেদ যাদের বাসা তাদের কাছে তুচ্ছ সবই তুচ্ছ মায়ের ভাষা। রক্ত দিয়ে এ দেশ কেনা কারা দিলেন রক্ত কেউ দেখে না ভেবে সেটা টাকার যারা ভক্ত। এমন সময় আমীন স্যারে ভাষার চাষে মত্ত তবে তাতে জুড়ে দিলেন নানা রকম শর্ত। বলছি তবু, শর্ত মেনেই ভাষার কাছে থাকব ভাষার বুকে ভক্তি দিয়ে জীবন ছবি আঁকব।

শুবাচ বাংলা ভাষার সমৃদ্ধায়নের দুর্বার পথিকৃৎ / শামীম ফরহাদ- শুবাচ

Image
শুবাচ বাংলা ভাষার সমৃদ্ধায়নের  দুর্বার পথিকৃৎ "শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)" যে শুদ্ধ বাংলা ভাষা চর্চার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে তার প্রমাণ, অতি অল্প সময়ে অনেক সদস্য অন্তর্ভুক্ত হওয়া। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর শুবাচ আত্মপ্রকাশ করে। আজ ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ ফেব্রুয়ারি। মাত্র চার মাসের মধ্যে সদস্য সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে। এটি শুবাচের গুরুত্ব ও সাধারণ্যে এর আকর্ষণের প্রমাণ বহন করে। সমাজে কোন বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হলে আগে দরকার, সমাজের শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়কে ঐ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা। শুবাচ বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা ও সমৃদ্ধায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষিত ও যুব সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ দায়িত্ব নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। বাংলাদেশি/বাংলাভাষী শিক্ষিতদের অনেকের এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। আমরা যদি সবার কাছে শুবাচের "শুদ্ধ বানান, শুদ্ধ ভাষা, বাংলা আমার ভালোবাসা" এই স্লোগানকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারি তবে আমাদের প্রাণের বাংলা ভাষাকে স্বমহিমা য় অধিষ্ঠিত রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করি।  একথা বলার অপেক্ষ

শুবাচের প্রস্তাব / ড. মোহাম্মদ আমীন

Image
শুবাচের প্রস্তাব বিষয়: সর্বস্তরে শুদ্ধ বানান চর্চা ও প্রমিত বানান রীতির প্রচলনে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব। মহোদয়,         শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ) সম্পূর্ণ অরাজনীতিক ভাষাশিক্ষামূলক একটি অনলাইন গ্রুপ। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর গ্রুপটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। ইতোমধ্যে এ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা সাতাশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুদ্ধ বানান চর্চা ও বাংলা বানানে প্রমিত নিয়ম প্রয়োগে উৎসাহ প্রদান, বাংলা বানান ও শব্দচয়নে ভুল কিংবা যথেচ্ছাচার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, বাংলা ভাষার প্রচার-প্রসার ও সমৃদ্ধায়নের লক্ষ্যে আলোচনা-পর্যালোচনা, গবেষণা ও উপযুক্ত গ্রন্থাদি প্রকাশ এবং এসব লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এ গ্রুপের অন্যতম উদ্দেশ্য। ভাষাভাষীর সংখ্যা ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ-মুগ্ধতায় পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা বাংলা। আত্মত্যাগের ইতিহাস পর্যালোচনায় বাংলা বিশ্বে অতুলনীয় মর্যাদায় অভিষিক্ত নিপুণ গৌরবের অধিকারী একটি অনবদ্য ইতিহাস। যার প্রমাণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে মহান একুশের বিরল স্বীকৃতি। পৃথিবীতে এমন ধ্বনি খুব কমই

সরকারের কাছে শুবাচের প্রস্তাব

সরকারের কাছে শুবাচের প্রস্তাব জনসংখ্যা বিবেচনায় বাংলা পৃথিবীর চতুর্থ এবং বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ-মুগ্ধতায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা। আত্মত্যাগের ইতিহাস পর্যালোচনায়, বাংলা বিশ্বে অতুলনীয় মর্যাদায় অভিষিক্ত নিপুণ গৌরবের অধিকারী একটি অনবদ্য ইতিহাস। যার প্রমাণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে মহান একুশের বিরল স্বীকৃতি। পৃথিবীতে এমন ধ্বনি খুব কমই আছে যা বাংলায় উচ্চারণ করা যায় না। এ ভাষায় রচিত কাব্যগীতির সুর-ছন্দ ও প্রায়োগিক দ্যোতনা সামগ্রিক পরিপূর্ণতা ও অনিন্দ্য মাধুর্যের নির্ঝর অনুভূতি।   প্রাচীনত্ব, সৃষ্টিশীলতা, সমৃদ্ধ সাহিত্যকর্ম, শব্দভাণ্ডার ও প্রকাশ-গম্যতা বিবেচনা করলেও বাংলা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। এ ভাষার সার্বিক মান ও সৌন্দর্য রক্ষায় পরিপূর্ণ পরিচর্যা আবশ্যক। বর্তমানে বাংলা বানানে বাংলাভাষী জনগণের ভুল ও যথেচ্ছাচার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বাংলা বানানে ভুল, শব্দ চয়নে স্বেচ্ছচারিতা, প্রমিত বানান রীতি অনুসরণে অবহেলা ও অজ্ঞতা বাংলা ভাষার মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। পৃথিবীর আর কোথাও মাতৃভাষার প্রতি এমন আচরণ লক্ষ্য করা যায় না। বাংলার সুমহান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখা

বাংলা একাডেমি : ভুলে ভুলে ভরপুর / জহিরুল ইসলাম - শুবাচ

Image
বাংলা একাডেমি : ভুলে ভুলে ভরপুর জহিরুল ইসলাম ‘বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ‘ বইটির ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, এটি একটি প্রবন্ধ-সংকলন মাত্র। বাংলা ভাষায় একটি সম্পূর্ণ ব্যাকরণ বইয়ের দীর্ঘদিনের প্রয়োজনের সামান্যও এটি পূরণ করতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না। অথচ এটি নিয়ে বাগাড়ম্বরের কোনো কমতি নেই।  আমার যে-কোনো বক্তব্যের বিপক্ষে কেউ গ্রহণযোগ্য যুক্তি দিতে পারলে আমি নিজের ভুল স্বীকার করে নেব। কারণ, হতে পারে আমি এটির অসামান্যতা খুঁজে পাইনি নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার জন্য। বইটির ‘সম্পাদকীয় ভূমিকা’র মতো গুরুত্বপ ূর্ণ অংশটির একটি বাক্য : ‘এ কাজে ঝুঁকি আছে, তবু আমরা সাধারণ পাঠকের বোধ্য করার জন্যই নানা পরিভাষাকে কিছুটা স্বচ্ছ করার চেষ্টা করা হয়েছে।’ দুজন সম্পাদকের লেখা বাক্যের এই অবস্থা। বাকিটা অনুমেয়। মুদ্রণ প্রমাদ? দেড়শো টাকায় ফর্মা দেখা প্রুফ রিডাররা সব ঠিক করে দেবেন? আর ঠিক করার দায়দায়িত্ব শুধুই তাদের? যারা লাখ লাখ টাকা হজম করেন তারা ভুল লিখতেই থাকবেন? অথবা নিজেরা ঠিক করতে পারবেন না? আর দুয়েকটা জায়গার কথা বলি! প্রথম খণ্ডের ভূমি

বাংলা একডামি: বানান জটিলতার সূতিকাগার / শহিদুল হক- শুবাচ

Image
বাংলা একডামি: বানান জটিলতার সূতিকাগার বাংলাদেশের জাতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির কাছ থেকে আমরা হালে শুদ্ধ করে বাংলা বানান লেখা শিখছি। তাদের সৌজন্যেই শ্রেণী এখন শ্রেণি হয়ে গেছে। প্রাণী হয়েছে প্রাণি। তাতে কী? সেখানে চাকরিরত পণ্ডিৎমহাশয়গণ যখন যেভাবে বলছেন আমরা তাতেই সম্মতি জানিয়ে জ্বি হুজুর, জ্বি হুজুর করছি। তাদের রচিত কেতাবে যদি লাইনে লাইনে বানান ভুল থাকে তবে কী আর বলার আছর হলে আমার আপনার শেখা শুদ্ধ বানানও ভূল হয়ে যেতে বাধ্য। আমার ফেসবুকের এক বন্ধু মহিলা কবি ‘কবিতা কি?’ শেখাতে গেলে আমি ‘কি’ এর প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলাতে তিনি আমাকে চ্যাটিংয়ে বেটিং করে ছেড়েছেন। থাকতে পারে। বলা ঠিকও হবে না। অনুসরণ করে যেতে হবে। আমি তাদের নাম দিয়েছি তৈলভূত ও দলীয় ভূত। এ সব ভূতের কেন আমি তার বানানে ভুল ধরতে গেলাম। বাংলা একাডেমিও তো শত শত ভুল করে। তাই তো। তিনি ঠিকই বলেছেন। আমি লেখাপড়া কম জানা মানুষ। বাংলা বানান শেখার জন্য গত ০৪/০২/২০১৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ বইমেলা থেকে ‘বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’ ৭০০/- টাকা দিয়ে কিনেছি। বাসায় এনে খুব আগ্রহসহকারে