Posts

শব্দার্থ / ড. মোহাম্মদ আমীন

একদিঠ : স্থিরনেত্র। একনরি : এক প্যাঁচবিশিষ্ট। এক নলা : খাওয়ার সময় একবারে যে পরিমাণ খাদ্য মুখে দেওয়া হয়, লোকমা, গ্রাস। একনলা : একনলবিশিষ্ট। একান্ন : ৫১ একান্ন : যে ব্যক্তি দিনে একবারমাত্র অন্ন গ্রহণ করে, একত্রআহার, যৌথ পরিবারভুক্ত। এ কি : বিস্ময়সূচক শব্দ। এ কী : এই বিষয়টা কী? ঐকৈক : একাকী, একক, একের পর এক। এণাক্ষী : হরিণের মতো চোখবিশিষ্ট। ঐণিক : হরিণ শিকারি। একাকি কিন্তু একাকিত্ব এক্ষণ কিন্তু এক্ষুনি, এখুনি। এক কুড়ি কিন্তু একহালি। ওলা : চিনির নাড়ুবিশেষ, শিলাবৃষ্টি ওলা : অবতরণ করা, নামানো। কাল রাত : আগামীকাল বা গতকালের রাত। কালো রাত : অন্ধকার রাত, ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত। কালরাত : 'যে রাত্রিতে মৃত্যু বা বিপদ ঘটে, ভয়ঙ্কর রাত্রি। ] আমি লিখব 'কালরাত'। বিসিএস বাংলা লিংক: শুবাচ লিংক শুবাচ লিংক /২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২ বাংলা বানান জঞ্জাল দিবস যবন শব্দের ব্যুৎপত্তি ধারণ কিন্তু ধরন কেন গল্পে গল্পে বাংলা বানান রাজা বাদশাহ সম্রাট শাহেনশাহ সস্তার তিন অবস্থা প্রেসক্রিপশনে RX লেখার কারণ চিকুনগুনিয়া শব্দের অর্থ

বাংলা ভাষার মজা ও ড. মোহাম্মদ আমীন

Image
বইয়ের নাম : বাংলা ভাষার মজা লেখক : ড. মোহাম্মদ আমীন প্রকাশক : পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি. প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ ভূমিকা : আবুল কাসেম ফজলুল হক মূল্য : ৫৫০টা। প্রথম প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০১৯। বইটির ভূমিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক লিখেছেন : সুর, ছন্দ, অর্থদ্যোতনা আর উচ্চারণ বৈচিত্র্যের বহুমুখীনতা বিবেচনায় বাংলা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা। প্রতিটি বাংলা শব্দ ব্রহ্মের সৌকর্ষে অভিভূত করে দিতে পারে যে কাউকে, যদি তা শৈল্পিক সজ্জায় কিরণিত করা যায়। বাংলা শব্দ, বাক্যে বসে ব্রহ্মের মতো হয়ে   কত না রঙের মেলা ঘটাতে পারে, সৃষ্টি করতে পারে কত মজার লীলা, মনোহর কাহিনি, হৃদয় বিদারক সাহিত্য- তা বাংলাভাষী মাত্রই অবগত। প্রকৃতির সঙ্গে একীভূত বাংলা ভাষা প্রকৃতির মৃন্ময়ে গড়ে তুলতে পারে নানা মজার বুলি, প্রবাদ, প্রবচন, বাগধারা, ছড়া, কবিতা; বাংলা গান প্রকৃতির না প্রকৃতি বাংলা গানের- তা নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হতে পারে। প্রাচীন কাল হতে বাংলার এমন বৈচিত্র্যময় সৃজনশীলতা শুধু বাংলা ভাষার একক অবদান নয়, বাংলার প্রকৃতি, বাংলার ইতিহাস আর বাংলার মানুষের আচার-আচরণ এবং সৃজনশলতার অসংখ্য প্রমাণ প্রতি

রহস্যগল্প / ড. মোহাম্মদ আমীন

Image
রহস্যাবৃত উত্তেজনাকর কাহিনি-প্রধান গল্পই রহস্যগল্প। রহস্য ও গল্প শব্দ নিয়ে রহস্যগল্প শব্দের উদ্ভব। রহস্য শব্দের অনেকগুলো অর্থ আছে, তবে সবচেয়ে বহুল প্রচলিত এবং সাহিত্যালোচনায় প্রযোজ্য অর্থ হচ্ছে: প্রথমে বোঝা যায় না এমন গোপন তত্ত্ব। গল্প শব্দের অর্থ কাহিনি। রহস্যগল্প হচ্ছে এমনই একটি হৃদয় আলোড়িত দুর্ধর্ষ কাহিনি। বস্তুত যে গল্পের বিষয়বস্তু ভাবাবেগে কণ্টকিত ভীতকর অজানা ভরা এবং প্রকৃত তথ্য উদ্‌ঘাটনের ইচ্ছা কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যায়-- সেটিই রহস্যগল্প। গল্পে বর্ণিত বিষয়ের সূচনাতে প্রবল ভাবাবেগ আর ঔৎসুক্যের সৃষ্টি করাই হচ্ছে রহস্যগল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। এখানে লেখক আর পাঠকের সম্পর্ক গল্পের মাঝে হারিয়ে যায় ভয় আর উত্তেজনার সীমানা পেড়িয়ে রহস্য সন্ধানের লক্ষ্যে। যে গল্পে এমন বৈশিষ্ট্য প্রবল এবং রোমাঞ্চকর উপায়ে বর্ণিত-- সে গল্পটি তত বেশি রহস্যময়, এবং রহস্যময় বলে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে।  রহস্যগল্পে কাহিনির যত গভীরে প্রবেশ করা যায় ঔৎসুক্য আর আবেগ এবং লুকিয়ে থাকা তথ্যটি জানার জন্য মনপ্রাণ তত বেশি উদগ্রীব হয়ে উঠে। উদ্বেগ আর উদ্বেল আকর্ষণে পাঠক নিজের অস্তিত্ব পর্যন্ত ভুলে যায়। অসাড় একাগ্রে মগ্ন হয়ে পড়ে

সরকারি স্বীকৃতি ছাড়াই নজরুল জাতীয় কবি/ ড. মোহাম্মদ আমীন

Image
ছোটোবেলা থেকে জেনে এসেছি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। চাকুরিতে যোগদানের পর বিভিন্ন মুখে জানতে পারি, কাজী নজরুল ইসলাম সরকারিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি নন। তিনি কেবল লোকমুখে প্রচারিত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং তাঁর ‘জাতীয় কবি’ পদবি ধারণের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি নেই। এমন অভিযোগ আমাকে বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলে। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে উপ-সচিব হিসেবে যোগদানের পর নিজ উদ্যোগে প্রকৃত বিষয়টি জানার চেষ্টা করি।  চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রযোজ্য সময়ে জারিকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে দেখতে থাকি। শিক্ষামন্ত্রণালয়ে উপসচিব হিসেবে যোগদানের পর আমার উদ্যোগ আরও সহজ এবং সংগতকারণে আরও বেগবান হয়। রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা সংক্রান্ত গেজেট বা কোনো প্রজ্ঞাপন আছে কি না তা অনুসন্ধানে ব্রত হই। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে মে কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনা হয় এবং ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ শে অগাস্ট তিনি বাংলাদেশেই মারা যান। তাই অনুসন্ধান প্রক্রিয়াটি আমি ওই সময়ে প্রকাশিত গেজেটপ্রজ্ঞাপন এবং সরকারি পত্রের মধ্যে সীমবাদ্ধ

নিউটনের ছাত্রীর কী হলো? লেখকের অভিজ্ঞতা থেকে/ প্রফেসর শাহিদা সুলতানা অনি

Image
স্যার, একটা কথা বলি?প্রকাশনা সংস্থার প্রবীণ প্রুফ রিডার সুনীল বাবুর কণ্ঠ শুনে বই থেকে চোখ তুললাম। চোখ তার জলে ডুবো ডুবো, মুখটা বিষণ্নতায় ছেয়ে। তিনি মাঝে মাঝে বানান সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসেন, কিন্তু এমন করুণ কণ্ঠ কখনও শুনিনি, দেখিনি এমন মলিন চেহারা।ফর্সা লোকটা কেমন জানি পাণ্ডুর হয়ে গেল, কিছুক্ষণ আগেও বেশ উৎফুল্ল দেখেছি। মানুষ খুব কষ্ট পেলে কিংবা মানসিক আঘাত লাগলে এমন করুণ গলায় কথা বলে।কী ব্যাপার সুনীল বাবু? আমি সহানুভূতির গলায় বললাম।একটা কথা বলতে চাইছিলাম স্যার।বলুন।“কথটা রাখবেন তো স্যার?” বলেই তার ডান হাতে থাকা কাগজগুলোর দিকে তাকালেন।হাতে কী? জানতে চাইলাম।নিউটনের ছাত্রী।নিউটনের ছাত্রী মানে আমার লেখা ‘নিউটনের ছাত্রী’ নামের কিশোর উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি।কী হয়েছে আপনার?“স্যার”, সুনীল বাবুর গলা আরও করুণ, আরও বিগলিত, “মেয়েটাকে না-মারলে হয় না? কত ভালো মেয়ে স্যার, এমন নিষ্ঠুরতা কি উচিত হবে?”কোন মেয়েকে আমি মারলাম? শঙ্কিত গলায় জানতে চাইলাম।সেলিমা, মানে নিউটনের ছাত্রী উপন্যাসের নায়িকা।আমি হাসি দিয়ে বললাম, কী যে বলেন!আপনি হাসছেন স্যার? এমন একজন ভালো মেয়েকে মেরে হাসতে পারছেন? আমি হলে পারতাম না।হাসি

নিউটনের ছাত্রী/ গ্রন্থ ভূমিকা

Image
পাঠক যদি একই সঙ্গে উপন্যাসের চরিত্র হয়ে যায়, তাহলে কেমন লাগবে? এই উপন্যাসে এমনটি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। উপন্যাসের নায়ক গোপাল। কোনো নায়িকা নেই। আমি জানি না গোপাল এখন কোথায়। এটাও জানি না, মার্কিন গবেষক ও মিশনারি দলের সঙ্গে চলে যাবার পর তার আগের নাম বহাল আছে কি না। থাকার কথা নয়, তবে থাকতেও পারে। সেই ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দ, এখন ২০১৮। পঁচিশ বছর গোপালের সঙ্গে দেখা নেই। গোপালের কথা মনে পড়লে শুধু চোখে ভাসে মাটিতে গড়াগাড়ি আর প্রথম দিনের মেথর-ছড়াটি। এতদিন পর দেখলেও চিনতে পারব বলে মনে হয় না। অবশ্য সে আমাকে দেখলে চিনতে পারবে। মেধাবীদের স্মরণশক্তি সবদিকে প্রখর। যত বার আমেরিকা গিয়েছি ততবার মনে পড়েছে গোপালের কথা। ইচ্ছে করত আমেরিকার সব ইউনিভার্সিটি খুঁজে মেথরের ছেলে শিশু গোপালের মুখটা একটু দেখি, কিন্তু এটি সম্ভব ছিল না। গুগুলে সার্চ দিলে অনেক গোপাল আসে-- হাজার হাজার। কিন্তু আমার গোপাল আসে না। আমার গোপাল শিশু গোপাল, দাড়িমোজহীন কৃষ্ণ গোপাল। গুগুলের সব গোপাল দাড়িমোজে একাকার। কীভাবে চিনব? সপ্তম শ্রেণির ছাত্র গোপালের চেহারা গুগুলে নেই। এখন গোপালের বয়স চল্লিশ ছাড়িয়ে। প্রাইমারি স্কুলে ভর্তির সময় প্রধান শিক

নিউটনের ছাত্রী / প্রমিতা দাশ লাবণী

Image
অসাধারণ মেধাবী সেলিমা আসলে নিউটনের ছাত্রী ছিল না, লেখকের ছাত্রী ছিল।চট্টগ্রামের জনৈক অশিক্ষিত কোটিপতির অশিক্ষিত বড়ো ছেলে লেখকের কাছে তার বোনকে পড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে এসে বলেছিলেন, “আমার বোন নিউটনের ছাত্রী। পুরো তল্লাটে তার মতো মেধাবী কেউ নেই।” লেখক রাজি হয়ে গেলেন। আসলে, নিউটনের ছাত্রীকে পড়ানোর আগ্রহ দমাতে পারেননি। পড়াতে গেলে, পরিচয় দিয়ে সেলিমা বলেছিল, “নিশ্চয় ভাইয়া আমাকে নিউটনের ছাত্রী হিসেব পরিচয় দিয়েছেন?” হ্যাঁ। “আমি কিন্তু নিউটনের ছাত্রী নই”, সেলিমা বলেছিল, “নিউটেনের ছাত্রী।তবে, ভাইয়ার কারণে আমি এখন সবখানে নিউটনের ছাত্রী। তাই বিজ্ঞানী নিউটনকে পুরোপুরি অত্মস্থ করে নিয়েছি। নিউটনের সব তথ্য আমার জানা।লেখক বলেছিলেন, এখন পড়া শুরু করি।“আগে আপনার মেধা যাচাই”, সেলিমা লেখককে বিস্মিত করে দিয়ে বলেছিল।মানে! লেখকের প্রশ্নে ছিল ক্ষোভ, লজ্জা আর কিছুটা সংকোচ।“আমাকে পড়াতে পারবেন কি না দেখতে হবে না? ইন্টারভিউ ছাড়া চাকুরি হয় না”, বলেই সেলিমা প্রশ্ন করেছিল, নিউটনের পিতামহের নাম কী?জানি না, সোজা উত্তর লেখকের।এই প্রশ্নটা কী আমাদের পরীক্ষায় আসবে?আসতে পারে আবার না-ও আসতে পারে, কিন্তু জানা থাকা ভালো।এরপর আর