বাংলা একডামি: বানান জটিলতার সূতিকাগার / শহিদুল হক- শুবাচ

বাংলা একডামি: বানান জটিলতার সূতিকাগার

বাংলাদেশের জাতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির কাছ থেকে আমরা হালে শুদ্ধ করে বাংলা বানান লেখা শিখছি। তাদের সৌজন্যেই শ্রেণী এখন শ্রেণি হয়ে গেছে। প্রাণী হয়েছে প্রাণি। তাতে কী? সেখানে চাকরিরত পণ্ডিৎমহাশয়গণ যখন যেভাবে বলছেন আমরা তাতেই সম্মতি জানিয়ে জ্বি হুজুর, জ্বি হুজুর করছি। তাদের রচিত কেতাবে যদি লাইনে লাইনে বানান ভুল থাকে তবে কী আর বলার আছর হলে আমার আপনার শেখা শুদ্ধ বানানও ভূল হয়ে যেতে বাধ্য। আমার ফেসবুকের এক বন্ধু মহিলা কবি ‘কবিতা কি?’ শেখাতে গেলে আমি ‘কি’ এর প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলাতে তিনি আমাকে চ্যাটিংয়ে বেটিং করে ছেড়েছেন।
থাকতে পারে। বলা ঠিকও হবে না। অনুসরণ করে যেতে হবে। আমি তাদের নাম দিয়েছি তৈলভূত ও দলীয় ভূত। এ সব ভূতের
কেন আমি তার বানানে ভুল ধরতে গেলাম। বাংলা একাডেমিও তো শত শত ভুল করে। তাই তো। তিনি ঠিকই বলেছেন। আমি লেখাপড়া কম জানা মানুষ। বাংলা বানান শেখার জন্য গত ০৪/০২/২০১৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ বইমেলা থেকে ‘বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’ ৭০০/- টাকা দিয়ে কিনেছি। বাসায় এনে খুব আগ্রহসহকারে পড়তে গিয়ে তো আমার অবস্থা কেরোসিন। হায় হায়! এ সব কী দেখছি। না, চোখে ঠিকই দেখছি। আপনারাও দেখে পরে মন্তব্য করবেন। 
ভূমিকার প্রথম পাতায়:
-ছিলো/ দু শো/ ছোটোবড়ো/কিভাবে/কোনো/বেদেশী/পনেরো/আঠারো/আরবী-ফারসী-তুর্কি
দ্বিতীয় পাতায়:
আরবী-ফারসী/সরকারী/কোনো/পায়নি/হলো
আর কত লিখব? 
এতো, কতো-এমন বানানের অভাব নেই এখানে। শ্রদ্ধেয় গোলাম মুরশিদ লিখিত ভূমিকায় বিশ শতকের বানান-রীতি বজায় রাখা হয়েছে। তাহলে আমরা কোন পথে যাব? আমরা কেন শ্রেণীকে ‘শ্রেণি’ এবং প্রাণীকে ‘প্রাণি’ বানাতে যাব? তারা যদি সরকারীই থাকতে পারে আমরা কেন ‘সরকারি’ লিখতে যাব? যাবো(যাব) এই কারণে যে, আমরা ছাত্র আর তারা শিক্ষক।

Comments

Popular posts from this blog

উপলক্ষ ও উপলক্ষ্য

পার ও পাড় / ড. মোহাম্মদ আমীন

তৎসম চেনার কৌশল / ড. মোহাম্মদ আমীন