ব্যাকরণের সূত্র ও সীমা-পরিসীমা / ড. মোহাম্মদ আমীন - শুবাচ

ব্যাকরণের সূত্র ও সীমা-পরিসীমা


যিনি খেলেন তিনি ‘খেলোয়াড়’ তা হলে যিনি লিখেন তাকে ‘লেখোয়াড়’ বললে অসুবিধা কোথায়?
অনেক অসুবিধা। তখন কিন্তু যিনি জানেন তিনি জানোয়ার, যিনি আনেন তিনি আনোয়ার,
যিনি শেখেন তিনি শেখোয়ার হয়ে যাবে। এমনটি হলে অনেক বিপদ।
তাই ব্যাকরণের সূত্রগুলো শুধু শিখলে হবে না, কোন্ সূত্র কোথায়
কীভাবে এবং কতটুক প্রয়োগ করা যাবে সে বিষয়েও
ভালোভাবে জানতে হবে।
নিজের ইচ্ছেমতো সূত্র মানার বিপদ নিয়ে সুকান্ত ভট্টাচার্যের
‘মেয়েদের পদবী’ শিরোনামের ছড়াটি পড়লে বিষয়টা
আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

মেয়েদের পদবীতে গোলমাল ভারী,
অনেকের নামে তাই দেখি বাড়াবাড়ি;
`আ'কার অন্ত দিয়ে মহিলা করার
চেষ্টা হাসির। তাই ভূমিকা ছড়ার।
`গুপ্ত' `গুপ্তা' হয় মেয়েদের নামে,
দেখছি অনেক চিঠি, পোস্টকার্ড, খামে।
সে নিয়মে যদি আজ `ঘোষ' হয় `ঘোষা',
তা হলে অনেক মেয়ে করবেই গোসা,
`পালিত' `পালিতা' হলে `পাল' হলে `পালা'
নির্ঘাৎ বাড়বেই মেয়েদের জ্বালা;
`মল্লিক' `মল্লিকা', `দাস' হলে `দাসা',
শোনাবে পদবীগুলো অতিশয় খাসা;
`কর' যদি `করা' হয়, `ধর' হয় `ধরা'
মেয়েরা দেখবে এই পৃথিবীটা--- ``সরা'',
`নাগ' যদি `নাগা' হয় `সেন' হয় `সেনা',
বড়ই কঠিন হবে মেয়েদের চেনা॥

Comments

Popular posts from this blog

উপলক্ষ ও উপলক্ষ্য

পার ও পাড় / ড. মোহাম্মদ আমীন

তৎসম চেনার কৌশল / ড. মোহাম্মদ আমীন