শুবাচ ও একুশে পদক / জহির উদ্দিন- শুবাচ

 শুবাচ ও একুশে পদক

ইশ! সরকার যদি শুবাচের এই প্রচেষ্টার কথা জানতেন, আমি নিশ্চিত 'একুশে পদক' এর মতো সম্মানজনক পদক শুবাচ পেত।
তবে আমার বিশ্বাস সে দিন খুব সন্নিকটে। দেশে আরেকটি বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে, সেটা 'শুবাচ বিপ্লব'। এই আন্দোলনের সৈনিক ছত্রিশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে শুবাচের সদস্য; প্রতিক্ষণে বাড়ছে বাংলাপ্রেমীর সংখ্যা। আমি মনে করি শুবাচ তার কার্যক্রমের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল বাংলাভাষীর মনে বাংলা প্রেমের এক অনবদ্য বীজ বুনে দিয়েছে। এ বীজ হতে হবে মহীরুহ। এটাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমার আপনার সবার। আসুন শুবাচের পতাকা তলে সমবেত হয়ে মাতৃভাষা প্রতি আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ নিই। অবারিত করি নিজেকে শুদ্ধ বানান ও শুদ্ধ বাংলা চর্চায়। মাতৃভাষাকে অশুদ্ধরূপে জানার মত লজ্জা আর হতে পারে না। মাতৃভাষাকে না-চেনা মানে নিজের জন্মধাত্রীকে না-চেনা। শুবাচ আমাদের এমন হীন লজ্জার হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার মহান ব্রতে নিরন্তর রত।
শুবাচ পেইজে লেখালেখি করলে আরও অনেক সদস্য বাড়বে বলে আমি মনে করি। ফেইসবুক যারা ব্যবহার করেন তাঁরা গ্রুপের চেয়ে যে কোন পেইজে থাকতে অধিক পছন্দ করেন।
সম্প্রতি শুবাচ একটা পেইজ খুলেছে। গ্রুপের মতো শুবাচ পেইজেও আমরা লেখালেখি করতে পারি। যে মাতৃভাষার জন্য আমরা জীবন দিয়েছি সে মাতৃভাষা আমাদের দিকে চেয়ে। শুবাচের পতাকাতলে সমবেত হয়ে আসুন মাতৃভাষার ঋণ পরিশোধ করি।

Comments

Popular posts from this blog

উপলক্ষ ও উপলক্ষ্য

পার ও পাড় / ড. মোহাম্মদ আমীন

তৎসম চেনার কৌশল / ড. মোহাম্মদ আমীন