ধ্বন্যাত্বক শব্দ বা অনুকার শব্দ / ড. মোহাম্মদ আমীন
ধ্বন্যাত্বক শব্দ বা অনুকার শব্দ
==============
বাংলা ভাষায় এমন অনেক শব্দ আছে, যেগুলো স্বাভাবিক ধ্বনির অনুকরণ থেকে জাত। সে ধ্বনি-সংকেতের সাহায্যে তারা বিশেষ বিশেষ অর্থ দ্যোতিত করে। এরূপ শব্দকে ধ্বন্যাত্বক বা অনুকার শব্দ বলে। যেমন : ‘খট’ করে একটা শব্দ হল। বাপু ‘আমতা আমতা’ করছ কেন?
ইংরেজি ভাষাতেও এরূপ অনুকার শব্দে দেখা যায়। যেমন : bang, ding-dong, hiss ইত্যাদি। তবে বাংলা ধ্বন্যাত্বক শব্দের সমৃদ্ধি যে কোন বিবেচনায় অতুলনীয়। ধ্বনির সাহায্যে এরা মনের মধ্যে এমন একটি দ্যোতনার সৃষ্টি, তাতে ভাবের প্রকাশ ও উপস্থাপনা সৌকর্যময় মাধুর্যে নিখুঁত হয়ে উঠে। ধ্বন্যাত্বক শব্দগুলো এত সহজে এত বর্ণনা-বৈচিত্র্যের সমাহার করতে পারে, যা অর্থবব্ধ শব্দের দ্বারা- এমনকি অভিনয় দ্বারাও প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ‘মা বলতে প্রাণ করে ‘আনচান’। তাকে দেখার জন্য মনটা ‘আঁকুপাঁকু’ করছে। কড় কড় কড় ডাকবে দেয়া, আসব আমন রুঁয়ে। বাড়িতে লোকজন গিজ গিজ করছে। বালিগুলো চিক চিক করছে। নদীর জল তিরতির করে বয়ে চলেছে। এ রকম আরও অসংখ্য উদাহরণ টানা যায়। এখানে ব্যবহৃত ধ্বন্যাত্বক শব্দগুলো প্রতিটি বাক্যকে যে দ্যোতনা, যে বর্ণনা-বৈচিত্র্য ও বাস্তবতা এনে দিয়েছে তা কী পৃথিবীর আর কোন ভাষায় সম্ভব!
শুধু এটা বিবেচনা করলেও বাংলা পৃথিবীর অন্যতম একটা শ্রেষ্ঠ ভাষা। যার প্রকাশ ক্ষমতা সময় সময় অভিনয় এবং কখনও কখনও বাস্তবতাকেও হারিয়ে দেয়।
==============
বাংলা ভাষায় এমন অনেক শব্দ আছে, যেগুলো স্বাভাবিক ধ্বনির অনুকরণ থেকে জাত। সে ধ্বনি-সংকেতের সাহায্যে তারা বিশেষ বিশেষ অর্থ দ্যোতিত করে। এরূপ শব্দকে ধ্বন্যাত্বক বা অনুকার শব্দ বলে। যেমন : ‘খট’ করে একটা শব্দ হল। বাপু ‘আমতা আমতা’ করছ কেন?
ইংরেজি ভাষাতেও এরূপ অনুকার শব্দে দেখা যায়। যেমন : bang, ding-dong, hiss ইত্যাদি। তবে বাংলা ধ্বন্যাত্বক শব্দের সমৃদ্ধি যে কোন বিবেচনায় অতুলনীয়। ধ্বনির সাহায্যে এরা মনের মধ্যে এমন একটি দ্যোতনার সৃষ্টি, তাতে ভাবের প্রকাশ ও উপস্থাপনা সৌকর্যময় মাধুর্যে নিখুঁত হয়ে উঠে। ধ্বন্যাত্বক শব্দগুলো এত সহজে এত বর্ণনা-বৈচিত্র্যের সমাহার করতে পারে, যা অর্থবব্ধ শব্দের দ্বারা- এমনকি অভিনয় দ্বারাও প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ‘মা বলতে প্রাণ করে ‘আনচান’। তাকে দেখার জন্য মনটা ‘আঁকুপাঁকু’ করছে। কড় কড় কড় ডাকবে দেয়া, আসব আমন রুঁয়ে। বাড়িতে লোকজন গিজ গিজ করছে। বালিগুলো চিক চিক করছে। নদীর জল তিরতির করে বয়ে চলেছে। এ রকম আরও অসংখ্য উদাহরণ টানা যায়। এখানে ব্যবহৃত ধ্বন্যাত্বক শব্দগুলো প্রতিটি বাক্যকে যে দ্যোতনা, যে বর্ণনা-বৈচিত্র্য ও বাস্তবতা এনে দিয়েছে তা কী পৃথিবীর আর কোন ভাষায় সম্ভব!
শুধু এটা বিবেচনা করলেও বাংলা পৃথিবীর অন্যতম একটা শ্রেষ্ঠ ভাষা। যার প্রকাশ ক্ষমতা সময় সময় অভিনয় এবং কখনও কখনও বাস্তবতাকেও হারিয়ে দেয়।
Comments
Post a Comment