শুদ্ধ বানান সূত্র / ড. মোহাম্মদ আমীন - শুবাচ
অতি প্রয়োজনীয় সপ্ত সূত্র: বিকল্প বানান ও প্রমিত রীতি
১. কোন শব্দের বানানে ‘হ্রস্ব ই-কার’ ও ‘ দীর্ঘ ঈ-কার’ উভয় চিহ্নের যে কোন একটির ব্যবহার সিদ্ধ বিবেচিত হলেও প্রমিত বানান রীতি অনুযায়ী সর্বদা ‘হ্রস্ব ই-কার’ হবে। যেমন: অঙ্গুরি, অন্তরিক্ষ, লহরি, কিংকণি, কলসি ইত্যাদি শব্দে ‘হ্রস্ব ই-কা ‘ এর স্থলে ‘দীর্ঘ ঈ-কার’ শুদ্ধ বলে গণ্য। কিন্তু প্রমিত রীতিতে ‘হ্রস্ব ই-কার’ হবে, কখনও ‘দীর্ঘ ঊ-কার’ নয়।
২. কোন শব্দে ‘হ্রস্ব উ-কার’ বা ‘দীর্ঘ ঊ-কার’ দুটিই শুদ্ধ প্রচলিত থাকলেও প্রমিত বানানে কেবল ‘হ্রস্ব উ-কার’ হবে। যেমন: উর্ণনাভ, উর্ণা, উর্বর, উযসী, উষা প্রভৃতি শব্দে ‘হ্রস্ব উ-কার’ এর স্থলে ‘দীর্ঘ-ঊ’ কার শুদ্ধ বলে বিবেচিত হলেও প্রমিত বানানে সর্বদা ‘হ্রস্ব উ-কার’ হবে।
৩. কোন শব্দের বানানে ‘দন্ত্য-ন’ ও ‘মূর্ধন্য-ণ’ উভয়টির ব্যবহার শুদ্ধ প্রচলিত থাকলেও বানানের সমতা বিধানের স্বার্থে ‘দন্ত্য-ন’ ব্যবহার করা হবে। যেমন: অঙ্গন, পুজারিনী, রানী, শিহরন ইত্যাদি শব্দে ‘দন্ত্য-ন’ এর স্থলে ‘মূর্ধন্য-ণ’ শুদ্ধ বিবেচিত হলেও বানানে সমতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সর্বদা ‘দন্ত্য-ন’ ব্যবহার করা হবে।
৪. ‘দন্ত্য-স’ ও ‘মূর্ধন্য-ষ’ এর ব্যবহার সংক্রান্ত বিকল্প বানানসিদ্ধ শব্দের জটিলতা নিরসনে আধুনিক-প্রমিত বানানে ‘মূর্ধন্য-ষ’ পরিত্যাগ করে ‘দন্ত্য-স’ লিখা হবে। যেমন: বাস্প শব্দটি অনেকে বাষ্প হিসেবে লিখে থাকেন। প্রচলিত অর্থে দুটিই শুদ্ধ। তবে আধুনিক-প্রমিত রীতিতে ‘বাস্প’ লেখা হবে।
৫. কোন শব্দের বানানে ‘তালব্য-শ’ ও ‘দন্ত্য-স’ উভয়ের ব্যবহার শুদ্ধ গণ্য হলেও প্রমিত বানান রীতি অনুযায়ী এরূপ শব্দের বানানে ‘দন্ত্য-স’ নয়; ‘তালব্য-শ’ বিধেয়। যেমন: কিশলয়, বিকশিত, কৌশল্য, বিকাশ, শরণি শব্দগুলোতে ‘তালব্য-শ’ এর স্থলে ‘দন্ত্য-স’ অশুদ্ধ না হলেও সর্বজনীন বানানের স্বার্থে সর্বদা ‘তালব্য-শ’ ব্যবহার করা হবে।
৬.বাংলা বানানে কোন শব্দে ‘তালব্য- ‘ ও ‘মূর্ধন্য-ষ’ দুটিই শুদ্ধ বলে প্রচলিত থাকলেও প্রমিত বানান রীতি ও বাংলা বানানের জটিলতা নিরসনের স্বার্থে সর্বদা ‘তালব্য-শ’ হবে, ‘মূর্ধন্য-ষ’ নয়। যেমন: পরিবেশ, কৌশিক, উশীর প্রভৃতি শব্দে যদিও ‘তালব্য-শ’ এর স্থলে ‘মূর্ধণ্য-ষ’ ব্যবহার প্রচলিত। তবে বানানের জটিলতা এড়ানো ও সমতা বিধানের স্বার্থে ‘তালব্য-শ’ বিধেয়।
৭. কোন শব্দের বানানে একাধিক যুুক্তব্যঞ্জনের ব্যবহার শুদ্ধ গণ্য হলে বিকল্প বানানসমূহের মধ্যে যেটি সবচেয়ে সহজতর কিংবা অধিক প্রচলিত সেটি ব্যবহার করা হবে। যেমন: পাশ্চাত্য ও পাশ্চাত্ত্য দুটি বানানই শুদ্ধ। তবে সহজ ও প্রচলন বিবেচনায় প্রথমটি (পাশ্চাত্য) লেখা হবে।
(বিশেষ অনুরোধ: ভুল থাকলে সংশোধন শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করা হবে।)
১. কোন শব্দের বানানে ‘হ্রস্ব ই-কার’ ও ‘ দীর্ঘ ঈ-কার’ উভয় চিহ্নের যে কোন একটির ব্যবহার সিদ্ধ বিবেচিত হলেও প্রমিত বানান রীতি অনুযায়ী সর্বদা ‘হ্রস্ব ই-কার’ হবে। যেমন: অঙ্গুরি, অন্তরিক্ষ, লহরি, কিংকণি, কলসি ইত্যাদি শব্দে ‘হ্রস্ব ই-কা ‘ এর স্থলে ‘দীর্ঘ ঈ-কার’ শুদ্ধ বলে গণ্য। কিন্তু প্রমিত রীতিতে ‘হ্রস্ব ই-কার’ হবে, কখনও ‘দীর্ঘ ঊ-কার’ নয়।
২. কোন শব্দে ‘হ্রস্ব উ-কার’ বা ‘দীর্ঘ ঊ-কার’ দুটিই শুদ্ধ প্রচলিত থাকলেও প্রমিত বানানে কেবল ‘হ্রস্ব উ-কার’ হবে। যেমন: উর্ণনাভ, উর্ণা, উর্বর, উযসী, উষা প্রভৃতি শব্দে ‘হ্রস্ব উ-কার’ এর স্থলে ‘দীর্ঘ-ঊ’ কার শুদ্ধ বলে বিবেচিত হলেও প্রমিত বানানে সর্বদা ‘হ্রস্ব উ-কার’ হবে।
৩. কোন শব্দের বানানে ‘দন্ত্য-ন’ ও ‘মূর্ধন্য-ণ’ উভয়টির ব্যবহার শুদ্ধ প্রচলিত থাকলেও বানানের সমতা বিধানের স্বার্থে ‘দন্ত্য-ন’ ব্যবহার করা হবে। যেমন: অঙ্গন, পুজারিনী, রানী, শিহরন ইত্যাদি শব্দে ‘দন্ত্য-ন’ এর স্থলে ‘মূর্ধন্য-ণ’ শুদ্ধ বিবেচিত হলেও বানানে সমতা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সর্বদা ‘দন্ত্য-ন’ ব্যবহার করা হবে।
৪. ‘দন্ত্য-স’ ও ‘মূর্ধন্য-ষ’ এর ব্যবহার সংক্রান্ত বিকল্প বানানসিদ্ধ শব্দের জটিলতা নিরসনে আধুনিক-প্রমিত বানানে ‘মূর্ধন্য-ষ’ পরিত্যাগ করে ‘দন্ত্য-স’ লিখা হবে। যেমন: বাস্প শব্দটি অনেকে বাষ্প হিসেবে লিখে থাকেন। প্রচলিত অর্থে দুটিই শুদ্ধ। তবে আধুনিক-প্রমিত রীতিতে ‘বাস্প’ লেখা হবে।
৫. কোন শব্দের বানানে ‘তালব্য-শ’ ও ‘দন্ত্য-স’ উভয়ের ব্যবহার শুদ্ধ গণ্য হলেও প্রমিত বানান রীতি অনুযায়ী এরূপ শব্দের বানানে ‘দন্ত্য-স’ নয়; ‘তালব্য-শ’ বিধেয়। যেমন: কিশলয়, বিকশিত, কৌশল্য, বিকাশ, শরণি শব্দগুলোতে ‘তালব্য-শ’ এর স্থলে ‘দন্ত্য-স’ অশুদ্ধ না হলেও সর্বজনীন বানানের স্বার্থে সর্বদা ‘তালব্য-শ’ ব্যবহার করা হবে।
৬.বাংলা বানানে কোন শব্দে ‘তালব্য- ‘ ও ‘মূর্ধন্য-ষ’ দুটিই শুদ্ধ বলে প্রচলিত থাকলেও প্রমিত বানান রীতি ও বাংলা বানানের জটিলতা নিরসনের স্বার্থে সর্বদা ‘তালব্য-শ’ হবে, ‘মূর্ধন্য-ষ’ নয়। যেমন: পরিবেশ, কৌশিক, উশীর প্রভৃতি শব্দে যদিও ‘তালব্য-শ’ এর স্থলে ‘মূর্ধণ্য-ষ’ ব্যবহার প্রচলিত। তবে বানানের জটিলতা এড়ানো ও সমতা বিধানের স্বার্থে ‘তালব্য-শ’ বিধেয়।
৭. কোন শব্দের বানানে একাধিক যুুক্তব্যঞ্জনের ব্যবহার শুদ্ধ গণ্য হলে বিকল্প বানানসমূহের মধ্যে যেটি সবচেয়ে সহজতর কিংবা অধিক প্রচলিত সেটি ব্যবহার করা হবে। যেমন: পাশ্চাত্য ও পাশ্চাত্ত্য দুটি বানানই শুদ্ধ। তবে সহজ ও প্রচলন বিবেচনায় প্রথমটি (পাশ্চাত্য) লেখা হবে।
(বিশেষ অনুরোধ: ভুল থাকলে সংশোধন শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ করা হবে।)
Comments
Post a Comment