সাত সকাল / ড. মোহাম্মদ আমীন
গত ১৩ ডিসেম্বর সুমন্ত বর্মণ একটি পোস্টে লিখেছেন : “সাত-পাঁচ না ভেবে সরাসরি শুবাচের দরবারে নিবেদন আমার ৷ প্রশ্নটি নিয়ে সাত-সতেরো হবে, হোক ৷ আচ্ছা, "সাত সকালে" বলতে "খুব সকালে" বুঝি কেন?”
‘সাত-পাঁচ না ভাবা’ কিংবা ‘সাত সকাল’ ছাড়াও ‘সাত’ নিয়ে বাংলা ভাষায় আরও বেশ কয়েকটি বাগধারার প্রচলিত আছে। যেমন : সাত জন্মে (কখনও), সাতপাঁচ ভাবা (নানা চিন্তা), সাতঘাটের কানাকড়ি (অকিঞ্চিৎকর সংগ্রহ), সাতেও নেই পাঁচেও নেই (সংশ্রব শূন্য), সাতচড়ে রা করে না (অত্যন্ত নীরিহ প্রকৃতির লোক), সাত পুরুষে না শোনা (বংশানুক্রমে অশ্রুত), সাতরাজার ধন মানিক (কষ্টার্জিত মহা-মূল্যবান সম্পদ), সাত ঘাটের জল খাওয়া/খাওয়ানো (বহু বিপদে পড়া বা ফেলা), সাত তাড়াতাড়ি (অতি শীঘ্র), সাত দিক (সর্বত্র) প্রভৃতি। এ সকল ‘সাত-যুক্ত’ বাগধারায় ‘সাত’ সংখ্যাটি মূলত ‘সপ্তাহ’ বা ‘সাত দিন’ বর্ণনার মাধ্যমে সময়ের পরিধি (অতিরিক্ত বা কম) প্রকাশ করেছে।
সাত হচ্ছে সপ্তাহের সাত বারের প্রতীক। যা দিয়ে ‘বার’ শুরু এবং শেষ। তাই সাত দিয়ে বিস্তৃত, আদি-অন্ত, গভীর, নিবিড়, সময়, বৃদ্ধি, হ্রাস, কম, প্রভৃতি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হতো। শুধু তাই নয়, ‘সাত আসমান’, ‘সাত স্বর্গ’, ‘সাত-নরক’ প্রভৃতির অাদি-অন্ত পরিধিও সপ্তাহের সাতদিনের সঙ্গে অভিন্ন অর্থ প্রকাশে বাগাধারাগুলোকে প্রভাবিত করেছে। তাই ‘সাত’ শব্দটি যেমন অতিরিক্তি প্রকাশে ব্যবহার করা হতো তেমনি অতি-কম প্রকাশেও ব্যবহার করা হতো। কারণ সাত ছিল আদি-অন্ত বা কম-বেশির পরম ও চরম পরিধি।
এখানে বর্ণিত ‘সাত পুরুষে না শোনা’ বাগাধারায় ‘সাত’ দ্বারা দীর্ঘ সময় প্রকাশ করা হয়েছে। আবার ‘সাত তাড়াতাড়ি’ বাগাধারার বর্ণিত ‘সাত প্রকাশ করছে ‘স্বল্পতা’। তেমনি ‘সাত সকাল’ বাগধারার ‘সাত দ্বারা অতি সকাল প্রকাশ করা হচ্ছে। এমন আরও কয়েকটি উদাহরণ : সাত সন্ধ্যা, সাত জনম, সাত যুগ ইত্যাদি। পাঁচ দ্বারা ঈঙ্গিত করা হতো হাতের পাঁচ-আঙুল। যেমন : সাত-পাঁচ বাগধারায় এর প্রকাশ লক্ষণীয়।
‘সাত-পাঁচ না ভাবা’ কিংবা ‘সাত সকাল’ ছাড়াও ‘সাত’ নিয়ে বাংলা ভাষায় আরও বেশ কয়েকটি বাগধারার প্রচলিত আছে। যেমন : সাত জন্মে (কখনও), সাতপাঁচ ভাবা (নানা চিন্তা), সাতঘাটের কানাকড়ি (অকিঞ্চিৎকর সংগ্রহ), সাতেও নেই পাঁচেও নেই (সংশ্রব শূন্য), সাতচড়ে রা করে না (অত্যন্ত নীরিহ প্রকৃতির লোক), সাত পুরুষে না শোনা (বংশানুক্রমে অশ্রুত), সাতরাজার ধন মানিক (কষ্টার্জিত মহা-মূল্যবান সম্পদ), সাত ঘাটের জল খাওয়া/খাওয়ানো (বহু বিপদে পড়া বা ফেলা), সাত তাড়াতাড়ি (অতি শীঘ্র), সাত দিক (সর্বত্র) প্রভৃতি। এ সকল ‘সাত-যুক্ত’ বাগধারায় ‘সাত’ সংখ্যাটি মূলত ‘সপ্তাহ’ বা ‘সাত দিন’ বর্ণনার মাধ্যমে সময়ের পরিধি (অতিরিক্ত বা কম) প্রকাশ করেছে।
সাত হচ্ছে সপ্তাহের সাত বারের প্রতীক। যা দিয়ে ‘বার’ শুরু এবং শেষ। তাই সাত দিয়ে বিস্তৃত, আদি-অন্ত, গভীর, নিবিড়, সময়, বৃদ্ধি, হ্রাস, কম, প্রভৃতি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হতো। শুধু তাই নয়, ‘সাত আসমান’, ‘সাত স্বর্গ’, ‘সাত-নরক’ প্রভৃতির অাদি-অন্ত পরিধিও সপ্তাহের সাতদিনের সঙ্গে অভিন্ন অর্থ প্রকাশে বাগাধারাগুলোকে প্রভাবিত করেছে। তাই ‘সাত’ শব্দটি যেমন অতিরিক্তি প্রকাশে ব্যবহার করা হতো তেমনি অতি-কম প্রকাশেও ব্যবহার করা হতো। কারণ সাত ছিল আদি-অন্ত বা কম-বেশির পরম ও চরম পরিধি।
এখানে বর্ণিত ‘সাত পুরুষে না শোনা’ বাগাধারায় ‘সাত’ দ্বারা দীর্ঘ সময় প্রকাশ করা হয়েছে। আবার ‘সাত তাড়াতাড়ি’ বাগাধারার বর্ণিত ‘সাত প্রকাশ করছে ‘স্বল্পতা’। তেমনি ‘সাত সকাল’ বাগধারার ‘সাত দ্বারা অতি সকাল প্রকাশ করা হচ্ছে। এমন আরও কয়েকটি উদাহরণ : সাত সন্ধ্যা, সাত জনম, সাত যুগ ইত্যাদি। পাঁচ দ্বারা ঈঙ্গিত করা হতো হাতের পাঁচ-আঙুল। যেমন : সাত-পাঁচ বাগধারায় এর প্রকাশ লক্ষণীয়।
"সাত-কাহন"
ReplyDelete"সাত-কাহন"
ReplyDelete