জন্য নাকি জন্যে/ ড. মোহাম্মদ আমীন
জন্য/জন্যে, দেওয়া/দেয়া; নিকাশ/নিকেশ, নেওয়া/ নেয়া; মধ্য দিয়ে/মধ্যে দিয়ে, সন্ধ্যা/সন্ধে, হিসাব/হিসেব
উপরে বর্ণিত শব্দ-জোড়াসমূহে অবস্থিত উভয় শব্দ-রূপের সঙ্গে সবাই কম-বেশি পরিচিত।
প্রচলিত বিভিন্ন বানান-বিধি অনুসারে উভয়রূপ শুদ্ধ, তবে কোনটি কোথায় কখন কীভাবে
এবং কেন ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে অনেকে সম্যকভাবে অবগত নন। তাই বাক্যে
রূপ-দুটোর ব্যবহারে প্রায়শ ভুল লক্ষ করা যায়। প্রচলিত বানান বিধি অনুসারে প্রামাণ্য
লেখ্য ভাষায় ‘জন্য, দেওয়া, নিকাশ, নেওয়া, মধ্য দিয়ে, সন্ধ্যা ও হিসাব’
রূপটি ব্যবহার করা সমীচীন। এগুলোর কথ্যরূপ হচ্ছে যথাক্রমে ‘জন্যে,
দেয়া, নিকেশ, নেয়া, মধ্যে দিয়ে, সন্ধে, হিসেব প্রভৃতি। শব্দ-জোড়ার
দ্বিতীয় অর্থাৎ কথ্য-রূপটি প্রবাদ-প্রবচন বা সংলাপ ছাড়া অন্য
কোথাও ব্যবহার করা বিধেয় নয়। কারও মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে
কিংবা আংশিকরূপে উদ্ধৃত করা প্রয়োজন হলে
বর্ণিত শব্দ-জোড়ার কথ্যরূপ ব্যবহার করা যায়।
কিন্তু সে ক্ষেত্রে উদ্ধৃতচিহ্ন
ব্যবহার করতে হবে।
প্রচলিত বিভিন্ন বানান-বিধি অনুসারে উভয়রূপ শুদ্ধ, তবে কোনটি কোথায় কখন কীভাবে
এবং কেন ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে অনেকে সম্যকভাবে অবগত নন। তাই বাক্যে
রূপ-দুটোর ব্যবহারে প্রায়শ ভুল লক্ষ করা যায়। প্রচলিত বানান বিধি অনুসারে প্রামাণ্য
লেখ্য ভাষায় ‘জন্য, দেওয়া, নিকাশ, নেওয়া, মধ্য দিয়ে, সন্ধ্যা ও হিসাব’
রূপটি ব্যবহার করা সমীচীন। এগুলোর কথ্যরূপ হচ্ছে যথাক্রমে ‘জন্যে,
দেয়া, নিকেশ, নেয়া, মধ্যে দিয়ে, সন্ধে, হিসেব প্রভৃতি। শব্দ-জোড়ার
দ্বিতীয় অর্থাৎ কথ্য-রূপটি প্রবাদ-প্রবচন বা সংলাপ ছাড়া অন্য
কোথাও ব্যবহার করা বিধেয় নয়। কারও মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে
কিংবা আংশিকরূপে উদ্ধৃত করা প্রয়োজন হলে
বর্ণিত শব্দ-জোড়ার কথ্যরূপ ব্যবহার করা যায়।
কিন্তু সে ক্ষেত্রে উদ্ধৃতচিহ্ন
ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র : বাংলা শব্দের প্রমিত-প্রয়োগ।
Comments
Post a Comment