রমণীয় কৌতুক: লিঙ্গ বিতর্ক / শাহিদুল হক

রমণীয় কৌতুক: লিঙ্গ বিতর্ক
এক ব্যক্তি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে গিয়েছিল একটি ফরম পূরণ করার জন্য। সেখানে কর্মরত তথ্য পরিচালিকার সাথে তার আলোচনার বিষয়টি নিম্নে তুলে ধরা হল।
তথ্য পরিচালিকা: আপনার নাম কী?
সেবাগ্রাহক: দবির মিয়া
তথ্য পরিচালিকা: আপনার পিতার নাম কী?
দবির মিয়া: পিতার নাম-খবির মিয়া।
তথ্য পরিচালিকা: আপনার লিঙ্গ কী ?
দবির মিয়া: এইবার তো বিপদে ফেললেন। আপনাকে যে আমি কীভাবে আমার লিঙ্গ পরিচয় দেব, তা তো ভেবেই পাচ্ছি না।
তথ্য পরিচালিকা: এতে ভাবনার কী হলো ?
দবির মিয়া: আপনি আমার নাম শোনার পরেও লিঙ্গ পরিচয় জানতে চেয়েছেন। সুতরাং এটা কি ভাবনার বিষয় না ?
তথ্য পরিচালিকা: মোটেও ভাবনার বিষয় না। এখানে দুটো ঘর আছে। এর যে কোন একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে আপনি আপনার লিঙ্গ পরিচয় জানিয়ে দিলেই তো পারেন।
দবির মিয়া: আমার নাম লেখা বা বলার পরেও আমার লিঙ্গ বা নিদর্শন ব্যক্ত হচ্ছে না, আবার পৃথক করে লিঙ্গ পরিচয় দিতে হবে, তা হলে তো এটা দশম আশ্চর্যজনক ঘটনা! বরং আপনি পুরুষ-মহিলা নিয়ে ঘাঁটাঘাটি না করে লিখে দিন যে, আমার ‘প্রথম লিঙ্গ।’
তথ্য পরিচালিকা: আবার ‘প্রথম লিঙ্গ’ কেন?
দবির মিয়া: শুনেছি হিজড়াদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ বলা হচ্ছে। তা যদি সঠিক হয়, তা হলে তো কারো না কারো প্রথম এবং দ্বিতীয় লিঙ্গ আছেই। সুতরাং, এ ক্ষেত্রে আমারটা প্রথম লিঙ্গ আর আপনারটা দ্বিতীয় লিঙ্গ হলেই তো সব ঝামেলা মিটে যায়।
তথ্য পরিচালিকা: আমার লিঙ্গ দ্বিতীয়, আর আপনারটাই বা প্রথম হবে কেন?
দবির মিয়া: শুনেছি, আদমকে প্রথম সৃষ্টি করা হয়েছিল। সুতরাং সেদিক থেকে তো প্রথম লিঙ্গের দাবিদার পুরুষই হতে পারে।
তথ্য পরিচালিকা আর এ বিতর্কে না গিয়ে তাকে বুঝিয়ে বলল, এখনো প্রথম ও দ্বিতীয় লিঙ্গের ব্যবহার শুরু হয় নি। হলে তখন দেখা যাবে। বর্তমানে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ঐ ঘরের যে কোন একটিতে টিক চিহ্ন দিলেই লিঙ্গ চিহ্নিত হয়ে যাবে। আর এই ঘর পূরণ করা সকলের জন্যই বাধ্যতামূলক।

Comments

Popular posts from this blog

উপলক্ষ ও উপলক্ষ্য

পার ও পাড় / ড. মোহাম্মদ আমীন

তৎসম চেনার কৌশল / ড. মোহাম্মদ আমীন