ঢি ঢি / ড. মোহাম্মদ আমীন

ঢি ঢি

নিন্দার্থে ব্যবহৃত শব্দটির আভিধানিক অর্থ ব্যাপক জানাজানি। ঢোল ও ঢোলের আওয়াজ থেকে
বাগ্ভঙ্গিটির উৎপত্তি। এটি অব্যয় পদ। ঢেঁড়া এক প্রকার ঢোল। একসময় বাংলাদেশের সর্বত্র
এর বহুল প্রচলন ছিল। পেটালে ঢেঁড়া হতে বিকট শব্দে ঢি ঢি ধ্বনি বের হয়ে আসত। চারিদিকের
লোকজন শুনতে পেত ঢেঁড়া ঢোলের ঢি ঢি আওয়াজ। আগে প্রচারের এত আধুনিক মাধ্যম ছিল না।
জমিদার, রাজা বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কিছু ঘোষণা দেওয়ার বা জানান প্রয়োজন 
হলে ঢেঁড়া পেটানো হতো। ঢেঁড়ার শব্দে চারিদিক হতে লোকজন জড়ো হলে ঘোষক সমবেত লোকদের ঘোষণাটি
শুনিয়ে দিত। এভাবে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অল্পসময়ের মধ্যে লোকমুখে ছাড়িয়ে পড়ত। ঢেঁড়া পিটিয়ে
ঢি ঢি শব্দের মাধ্যমে লোকজন জড়ো করে ঘোষণা প্রচারের প্রাচীন রেওয়াজ থেকে ঢি ঢি শব্দটি
মানুষের বাগ্‌ভঙ্গিতে ওঠে আসে। এখন অবশ্য ঘোষণা প্রচারকে ঢি ঢি পড়ে গেছে বলা হয় না।
বাগ্‌ভঙ্গিটি নিন্দার্থে ব্যবহৃত হয়। কারও বদনাম বা খারাপ কিছু ছড়িয়ে পড়লে,
বা খারাপ কিছু ঘটলেই কেবল ঢি ঢি পড়ে।
ভালো কোন কিছুর জন্য
ঢি ঢি পড়ে না।

Comments

Popular posts from this blog

উপলক্ষ ও উপলক্ষ্য

পার ও পাড় / ড. মোহাম্মদ আমীন

তৎসম চেনার কৌশল / ড. মোহাম্মদ আমীন