গুণ্ডা-পাণ্ডা বনাম গুন্ডা-পান্ডা / ড. মোহাম্মদ আমীন



 গুণ্ডা-পাণ্ডা বনাম গুন্ডা-পান্ডা

ণ-ত্ব বিধানে ‘অতৎসম’ শব্দের যুক্তাক্ষরের বানানের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির বানান কমিটির সদস্যগণ একমত হতে পারেননি। একটি মতে বলা হয়েছে যে, এসব শব্দের যুক্তাক্ষরে ণ্ট, ণ্ঠ, ণ্ড, ণ্ঢ হবে। যথা : ঘণ্টা, লণ্ঠন, গুণ্ডা অন্যমতে বলা হয়েছে যে, এসব শব্দের যুক্তাক্ষরে ন্ট, ন্ঠ, ন্ড  হবে। যথা:  ঘণ্টা, প্যান্ট, প্রেসিডেন্ট, লন্ঠন, গুন্ডা, পান্ডা, ব্যান্ড, লন্ডভন্ড এখানে ঘণ্টা, লণ্ডভণ্ড  প্রভৃতি তৎসম শব্দ। এগুলো কীভাবে -তৎসম শব্দের বানানে অন্তর্ভুক্ত হলো! এসব শব্দ তৎসম বলে ণত্ব বিধানের নিয়মানুসারে মূর্ধন্য-ণ হবে। যেমন : ঘণ্টা, লণ্ঠন, গুণ্ডা উল্লেখ্য, গুণ্ডা শব্দ{গু-+(ঘঞ+বা. গুণ্ডা) সংস্কৃত গুণ্ড থেকে আগত

পান্ডা শব্দের অর্থ তীর্থস্থানের পূজারি। শব্দটি এসেছে সংস্কৃত পণ্ডিত থেকে। তাই এখানে মূর্ধন্য- হবে। কিন্তু পান্ডা (panda) শব্দ এসেছে নেপালি পান্ডা শব্দ থেকে। এর অর্থ : চীনের বনাঞ্চলে-জাত কচিবংশদণ্ড-ভোজী সংবেদনশীল ভালুকজাতীয় বিরল প্রজাতির প্রাণী এটি সংস্কৃত পণ্ডিত হতে আগত পাণ্ডা নয় বরং নেপাল হতে আগত panda তাই এই panda বানান বাংলায় লিখতে হলে দন্ত্য- হবে। যেমন : পান্ডা। কারণ, অতৎসম শব্দে ণত্ব বিধি প্রযোজ্য নয়। 

Comments

Popular posts from this blog

উপলক্ষ ও উপলক্ষ্য

পার ও পাড় / ড. মোহাম্মদ আমীন

তৎসম চেনার কৌশল / ড. মোহাম্মদ আমীন