ষ্ণ্য এবং তা প্রত্যয় / ড. মোহাম্মদ আমীন



‘ষ্ণ্য’ ও ‘তা’ তৎসম তদ্ধিত প্রত্যয়। বিশেষ্য-বিশেষণ রূপান্তর এবং নতুন শব্দ গঠনে প্রত্যয় দুটির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।উভয় প্রত্যয়ের প্রতিক্রিয়া অভিন্ন। অর্থাৎ কোনো শব্দের পর ‘ষ্ণ্য’ প্রত্যয় যুক্ত হলে যে অর্থ হয়, ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত হলেও একই অর্থ হয়। যেমন দরিদ্র+ ষ্ণ্য= দারিদ্র্য এবং দরিদ্র+ তা = দরিদ্রতা। দারিদ্র্য আর দরিদ্রতা একই অর্থ বহন করে। কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন দুটি প্রত্যয় একসঙ্গে প্রয়োগ করা হয়। তখন প্রযুক্ত শব্দ বাহুল্য দোষে দুষ্ট হয়ে যায়। যেমন : দরিদ্র শব্দের সাথে ‘ষ্ণ্য’ এবং ‘তা’ একইসঙ্গে যুক্ত করলে গঠিত হয় দারিদ্র্যতা। শব্দটি বাহুল্য দোষে দুষ্ট এবং অশুদ্ধ। এরকম কয়েকটি শব্দ-কৃপণ> কার্পণ্য অথবা কৃপণতা; কার্পণ্যতা অশুদ্ধ
জড়> জাড্য অথবা জড়তা; জাড্যতা অশুদ্ধ
কবি> কাব্য অথবা কবিতা; কাব্যতা অশুদ্ধ
দৃঢ়> দার্ঢ্য অথবা দৃঢ়তা; দার্ঢ্যতা অশুদ্ধ
দুর্বল> দৌর্বল্য অথবা দুর্বলতা; দৌর্বল্যতা অশুদ্ধ
মধুর> মাধুর্য অথবা মধুরতা; মাধুর্যতা অশুদ্ধ
দীন> দৈন্য অথবা দীনতা; দৈন্যতা অশুদ্ধ
কঠিন > কাঠিন্য অথবা কঠিনতা; কাঠিন্যতা অশুদ্ধ
অলস> আলস্য অথবা অলসতা; আলস্যতা অশুদ্ধ
সরল> সারল্য অথবা সরলতা; সারল্যতা অশুদ্ধ
ধীর> ধৈর্য অথবা ধীরতা; ধৈর্যতা অশুদ্ধ
প্রচুর> প্রাচুর্য অথবা প্রচুরতা; প্রাচুর্যতা অশুদ্ধ
সফল> সাফল্য অথবা সফলতা; সাফল্যতা অশুদ্ধ

Comments

Popular posts from this blog

উপলক্ষ ও উপলক্ষ্য

পার ও পাড় / ড. মোহাম্মদ আমীন

তৎসম চেনার কৌশল / ড. মোহাম্মদ আমীন