যতিচিহ্নের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ / ড. মোহাম্মদ আমীন
যতি বা ছেদচিহ্নের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
কথা বলার সময় অর্থানুসারে আমাদের কোথাও অল্প, কোথাও তুলনায় একটু বেশি থামতে হয়। কখনও আবার কণ্ঠে প্রশ্ন,বিস্ময়, খেদ ইত্যাদি সুর ফুটিয়ে তোলারও প্রয়োজন হয়। এ ক্ষণবিরাম বা নানা সুরের প্রতীক হচ্ছে ছেদচিহ্ন বা যতিচিহ্ন। সংস্কৃত যতি বা ছেদ, ইংরেজি punctuation বা আরবি ফারসি তন্কিন ব্যুৎপত্তিগতভাবে শুধু ক্ষণবিরতিকেই বোঝায়; অর্থের পরিধি বিবেচনায় তাকে সুর ধরার অর্থে নিয়ে যেতে হয়। একসময় বৈদিক সংস্কৃতের ন্যায় শুধু দাঁড়ি (।) ও দুই-দাঁড়ি (।।) ব্যবহার করা হত।
বাংলায় ব্যবহৃত আধুনিক যতি বা ছেদচিহ্ন
১. পাদচ্ছেদ (comma) : চিহ্ন (,)
২. অর্ধচ্ছেদ (semi-colon) : চিহ্ন (;)
৩. পূর্ণচ্ছেদ (full-stop) : চিহ্ন (।)
৪. দৃষ্টান্তচ্ছেদ (colon) : চিহ্ন (:)
৫. প্রশ্নচিহ্ন (note of interrogation) : (?)
৬. বিস্ময়চিহ্ন (note of exclamation) : (!)
৭. রেখাচিহ্ন (dash) : (— )
৮. উদ্ধৃতিচিহ্ন (inverted comma) : “ ”
৯. পদযোজক চিহ্ন (hyphen) : (-) ১০. অমিত্রাক্ষরে ছেদ-চিহ্ন ১১. দৃষ্টান্ত-রেখা (colon-dash) : চিহ্ন (:-) [ অধুনা এ চিহ্নের ব্যবহার তেমন লক্ষ করা যায় না।]
পুরনো ছেদচিহ্ন
পুরনো ভাষাগুলোতে এ সব ছেদচিহ্ন খুব কমই ব্যবহার করা হত। বৈদিক সংস্কৃতে দাঁড়ি (।) আর দুই-দাঁড়িই (।।) ছিল একমাত্র চিহ্ন। বাংলা ছন্দোবদ্ধ লেখাতেও এ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে — প্রথম চরণের শেষে দাঁড়ি (।) ও দ্বিতীয় চরণের শেষে দুই দাঁড়ি (।।)। একসময় বাংলায় পুরনো পুথিতে শব্দগুলোকেও আলাদা করা হত না — সীতাহারাআমিযেনমণিহারাফণী। পরে যখন শব্দের মধ্যে ফাঁক দেওয়া শুরু হল তখন এ ফাঁকটাই হয়ে উঠল এক ধরনের অনির্ধারিত প্রতীক চিহ্ন।
ইংরেজদের প্রয়োজনে বাংলা গদ্য রচনা ও মুদ্রণের সূচনা হল। গদ্য-রচনাকে পাঠযোগ্য করে তুলতে তাঁরা ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত যতিচিহ্নকে বাংলায় প্রয়োগ করতে শুরু করেন। এভাবে বাংলায় কমা, সেমিকোলন, কোলন, ড্যাশ, কোলন-ড্যাশ, ফুলস্টপ প্রভৃতি যতিচিহ্নের ব্যবহার শুরু হয়।
বিভিন্ন যতিচিহ্নের বিরতিকাল
কমায় (,) সাধারণভাবে ১ (এক) বলতে যে সময় প্রয়োজন সে পরিমাণ সময় এবং সেমিকোলনে (;) কমার দ্বিগুণ সময় বিরতি দিতে হয়।
দাঁড়ি(।), প্রশ্নচিহ্ন(?), বিস্ময়চিহ্ন(!), কোলন (:), কোলন-ড্যাশ (:-), ড্যশ ( - ) প্রভৃতি যতিচিহ্নের প্রত্যেকটিতে এক সেকেণ্ড করে থামতে হয়।
প্রথম বন্ধনী, দ্বিতীয় বন্ধনী, তৃতীয় বন্ধনী, হাইফেন (-) ও ইলেক বা লোপচিহ্নে ( ’ ) থামার প্রয়োজন নেই।
কথা বলার সময় অর্থানুসারে আমাদের কোথাও অল্প, কোথাও তুলনায় একটু বেশি থামতে হয়। কখনও আবার কণ্ঠে প্রশ্ন,বিস্ময়, খেদ ইত্যাদি সুর ফুটিয়ে তোলারও প্রয়োজন হয়। এ ক্ষণবিরাম বা নানা সুরের প্রতীক হচ্ছে ছেদচিহ্ন বা যতিচিহ্ন। সংস্কৃত যতি বা ছেদ, ইংরেজি punctuation বা আরবি ফারসি তন্কিন ব্যুৎপত্তিগতভাবে শুধু ক্ষণবিরতিকেই বোঝায়; অর্থের পরিধি বিবেচনায় তাকে সুর ধরার অর্থে নিয়ে যেতে হয়। একসময় বৈদিক সংস্কৃতের ন্যায় শুধু দাঁড়ি (।) ও দুই-দাঁড়ি (।।) ব্যবহার করা হত।
বাংলায় ব্যবহৃত আধুনিক যতি বা ছেদচিহ্ন
১. পাদচ্ছেদ (comma) : চিহ্ন (,)
২. অর্ধচ্ছেদ (semi-colon) : চিহ্ন (;)
৩. পূর্ণচ্ছেদ (full-stop) : চিহ্ন (।)
৪. দৃষ্টান্তচ্ছেদ (colon) : চিহ্ন (:)
৫. প্রশ্নচিহ্ন (note of interrogation) : (?)
৬. বিস্ময়চিহ্ন (note of exclamation) : (!)
৭. রেখাচিহ্ন (dash) : (— )
৮. উদ্ধৃতিচিহ্ন (inverted comma) : “ ”
৯. পদযোজক চিহ্ন (hyphen) : (-) ১০. অমিত্রাক্ষরে ছেদ-চিহ্ন ১১. দৃষ্টান্ত-রেখা (colon-dash) : চিহ্ন (:-) [ অধুনা এ চিহ্নের ব্যবহার তেমন লক্ষ করা যায় না।]
পুরনো ছেদচিহ্ন
পুরনো ভাষাগুলোতে এ সব ছেদচিহ্ন খুব কমই ব্যবহার করা হত। বৈদিক সংস্কৃতে দাঁড়ি (।) আর দুই-দাঁড়িই (।।) ছিল একমাত্র চিহ্ন। বাংলা ছন্দোবদ্ধ লেখাতেও এ চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে — প্রথম চরণের শেষে দাঁড়ি (।) ও দ্বিতীয় চরণের শেষে দুই দাঁড়ি (।।)। একসময় বাংলায় পুরনো পুথিতে শব্দগুলোকেও আলাদা করা হত না — সীতাহারাআমিযেনমণিহারাফণী। পরে যখন শব্দের মধ্যে ফাঁক দেওয়া শুরু হল তখন এ ফাঁকটাই হয়ে উঠল এক ধরনের অনির্ধারিত প্রতীক চিহ্ন।
ইংরেজদের প্রয়োজনে বাংলা গদ্য রচনা ও মুদ্রণের সূচনা হল। গদ্য-রচনাকে পাঠযোগ্য করে তুলতে তাঁরা ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত যতিচিহ্নকে বাংলায় প্রয়োগ করতে শুরু করেন। এভাবে বাংলায় কমা, সেমিকোলন, কোলন, ড্যাশ, কোলন-ড্যাশ, ফুলস্টপ প্রভৃতি যতিচিহ্নের ব্যবহার শুরু হয়।
বিভিন্ন যতিচিহ্নের বিরতিকাল
কমায় (,) সাধারণভাবে ১ (এক) বলতে যে সময় প্রয়োজন সে পরিমাণ সময় এবং সেমিকোলনে (;) কমার দ্বিগুণ সময় বিরতি দিতে হয়।
দাঁড়ি(।), প্রশ্নচিহ্ন(?), বিস্ময়চিহ্ন(!), কোলন (:), কোলন-ড্যাশ (:-), ড্যশ ( - ) প্রভৃতি যতিচিহ্নের প্রত্যেকটিতে এক সেকেণ্ড করে থামতে হয়।
প্রথম বন্ধনী, দ্বিতীয় বন্ধনী, তৃতীয় বন্ধনী, হাইফেন (-) ও ইলেক বা লোপচিহ্নে ( ’ ) থামার প্রয়োজন নেই।
Comments
Post a Comment