আদেশ নির্দেশ আদেশক্রমে নির্দেশক্রমে / ড. মোহাম্মদ আমীন
আদেশ নির্দেশ আদেশক্রমে নির্দেশক্রমে / ড. মোহাম্মদ আমীন
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানমতে, সংস্কৃত ‘আদেশ’ (বিশেষ্য) শব্দের অর্থ হুকুম, অনুমতি, উপদেশ, অনুশাসন, নিয়োগ প্রভৃতি। একই অভিধানমতে, সংস্কৃত ‘নির্দেশ’ (বিশেষ্য) শব্দের অর্থ নির্ধারণ, স্থিরীকরণ, বিশেষভাবে প্রদর্শন, আদেশ, উপদেশ, পরিচালন প্রভৃতি। অতএব অর্থ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘আদেশ’ ও ‘নির্দেশ’ সমার্থক। ‘আদেশক্রমে’ ও ‘নির্দেশক্রমে’ শব্দদুটির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য হতে পারে। তবে ‘আদেশ‘ ও ‘আদেশক্রমে’ শব্দদুটি যথাক্রমে নির্দেশ ও নির্দেশক্রমে শব্দের চেয়ে অধিকতর নমনীয়, ভদ্রোচিত এবং শালীন বিবেচনা করা হয়। এজন্য, আগে যেখানে ‘আদেশ’ বা ‘আদেশক্রমে’ লেখা হতো এখন সেখানে বহুক্ষেত্রে ‘অনুরোধ’ বা ‘অনুরোধক্রমে’ লেখা হচ্ছে। যেমন : তাকে তিন দিনের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করার অনুরোধ করা হলো। ‘আদেশ’ শব্দটি উপদেশ এবং কিছুটা অনুরোধও নির্দেশ করে কিন্তু ‘নির্দেশ’ শব্দে অনুরোধের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিচার ব্যবস্থায় কিংবা মামলা-মোকাদ্দমার ক্ষেত্রে ‘আদেশ’ শব্দটির চেয়ে ‘নির্দেশ’ শব্দটি অধিক ব্যবহৃত হয়। ‘আদেশ’ শব্দের চেয়ে ‘নির্দেশ’ শব্দে জরুরি এবং বাধ্যবাধকতার উপর অধিক জোর দেওয়া হয়। যদিও উভয় শব্দ অবশ্যই পালনীয় অর্থ প্রকাশে ব্যবহার করা হয়। আদেশ শব্দের মঞ্জুভাষ অনুরোধ কিন্তু নির্দেশ শব্দের এরূপ কোনো মঞ্জুভাষ নেই।
কয়েকটি উদাহারণ দিয়ে বিষয়টি আরো পরিষ্কার করা যেতে পারে। যেমন : (১) রাষ্ট্রপতি আদেশ দিলেন, (২) রাষ্ট্রপতি নির্দেশ দিলেন, (৩) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো, (৪) রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। এই বাক্যসমূহে ‘আদেশ’ ও ‘নির্দেশ’ এবং ‘আদেশক্রমে’ ও ‘নির্দেশক্রমে’ সমার্থক। আবার যদি বলা হয়, (১) আদেশ শব্দটি অনুরোধও নির্দেশ করে কিন্তু নির্দেশ শব্দে অনুরোধ নির্দেশ করে না।(২) প্রবন্ধটি নির্দেশ করে যে, আমাদের কীভাবে অগ্রসর হতে হবে। এই বাক্যদুটিতে ‘আদেশ’ ও ‘নির্দেশ’ সমার্থক নয়। একটি অধিকতর কঠোর অন্যটি কিছুটা নমনীয়।
আসলে আদেশ ও নির্দেশ শব্দদুটির অর্থ কী হবে তা বাক্যের গঠন ও বক্তার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে।
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানমতে, সংস্কৃত ‘আদেশ’ (বিশেষ্য) শব্দের অর্থ হুকুম, অনুমতি, উপদেশ, অনুশাসন, নিয়োগ প্রভৃতি। একই অভিধানমতে, সংস্কৃত ‘নির্দেশ’ (বিশেষ্য) শব্দের অর্থ নির্ধারণ, স্থিরীকরণ, বিশেষভাবে প্রদর্শন, আদেশ, উপদেশ, পরিচালন প্রভৃতি। অতএব অর্থ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘আদেশ’ ও ‘নির্দেশ’ সমার্থক। ‘আদেশক্রমে’ ও ‘নির্দেশক্রমে’ শব্দদুটির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য হতে পারে। তবে ‘আদেশ‘ ও ‘আদেশক্রমে’ শব্দদুটি যথাক্রমে নির্দেশ ও নির্দেশক্রমে শব্দের চেয়ে অধিকতর নমনীয়, ভদ্রোচিত এবং শালীন বিবেচনা করা হয়। এজন্য, আগে যেখানে ‘আদেশ’ বা ‘আদেশক্রমে’ লেখা হতো এখন সেখানে বহুক্ষেত্রে ‘অনুরোধ’ বা ‘অনুরোধক্রমে’ লেখা হচ্ছে। যেমন : তাকে তিন দিনের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করার অনুরোধ করা হলো। ‘আদেশ’ শব্দটি উপদেশ এবং কিছুটা অনুরোধও নির্দেশ করে কিন্তু ‘নির্দেশ’ শব্দে অনুরোধের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিচার ব্যবস্থায় কিংবা মামলা-মোকাদ্দমার ক্ষেত্রে ‘আদেশ’ শব্দটির চেয়ে ‘নির্দেশ’ শব্দটি অধিক ব্যবহৃত হয়। ‘আদেশ’ শব্দের চেয়ে ‘নির্দেশ’ শব্দে জরুরি এবং বাধ্যবাধকতার উপর অধিক জোর দেওয়া হয়। যদিও উভয় শব্দ অবশ্যই পালনীয় অর্থ প্রকাশে ব্যবহার করা হয়। আদেশ শব্দের মঞ্জুভাষ অনুরোধ কিন্তু নির্দেশ শব্দের এরূপ কোনো মঞ্জুভাষ নেই।
কয়েকটি উদাহারণ দিয়ে বিষয়টি আরো পরিষ্কার করা যেতে পারে। যেমন : (১) রাষ্ট্রপতি আদেশ দিলেন, (২) রাষ্ট্রপতি নির্দেশ দিলেন, (৩) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো, (৪) রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। এই বাক্যসমূহে ‘আদেশ’ ও ‘নির্দেশ’ এবং ‘আদেশক্রমে’ ও ‘নির্দেশক্রমে’ সমার্থক। আবার যদি বলা হয়, (১) আদেশ শব্দটি অনুরোধও নির্দেশ করে কিন্তু নির্দেশ শব্দে অনুরোধ নির্দেশ করে না।(২) প্রবন্ধটি নির্দেশ করে যে, আমাদের কীভাবে অগ্রসর হতে হবে। এই বাক্যদুটিতে ‘আদেশ’ ও ‘নির্দেশ’ সমার্থক নয়। একটি অধিকতর কঠোর অন্যটি কিছুটা নমনীয়।
আসলে আদেশ ও নির্দেশ শব্দদুটির অর্থ কী হবে তা বাক্যের গঠন ও বক্তার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে।
Comments
Post a Comment