জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ পুস্তিকার বানান সংশোধন আবশ্যক / ড. মোহাম্মদ আমীন
বানান ভুলের কবলে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ যে কোনো বিবেচনায় ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ সরকারের একটি যুগোপযোগী একটি কার্যকর উদ্যোগ। শিক্ষার প্রত্যেক স্তর নিয়ে এ শিক্ষানীতিতে যে-সব পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, তা যেমন আধুনিক, তেমনি বাস্তবসম্মত ও সুদূরপ্রসারী। এতৎসত্ত্বেও জাতীয় শিক্ষানীতি, ২০১০ পড়ে বাংলাভাষী হিসেবে কষ্ট লাগে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত (৭১ পৃষ্ঠার) এই শিক্ষানীতির বানানভুল ও ভাষারীতি দেখে একজন স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তিও লজ্জায় চোখ ঢেকে ফেলবেন। বানানভুলের পাশাপাশি এতে যতিচিহ্নের ভুলপ্রয়োগসহ শব্দচয়নেও শৃঙ্খলার আভাস পাওয়া যায়নি। অনেক বাক্য অস্পষ্ট ও দুর্বল, ফলে অর্থ বুঝতে অসুবিধা হয়। কিছু কিছু বাক্যের পদবিন্যাস হাস্যকর, যা অনেক বাক্যকে অর্থহীন করে তুলেছে। সাধারণত ‘সাথে’ ও ‘সঙ্গে’ পদদুটো যথাক্রমে পদ্য ও গদ্যে ব্যবহার শোভনীয় মনে করা হলেও এ পুস্তিকায় দুটোই ব্যবহার করা হয়েছে। বিকল্পসিদ্ধ বানানের ক্ষেত্রে প্রমিত শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। যেমন : শ্রেণি বানানটি লেখা হয়েছে ‘শ্রেণী’। উদাহরণ উপস্থাপনায় একই উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট চিহ্নে ব্যবহারে সমতা রক্ষ...