Posts

Showing posts from November, 2014

অঞ্জলি শব্দের ব্যুৎপত্তি / ড. মোহাম্মদ আমীন

অঞ্জলি ‘অঞ্জলি’ শব্দের আভিধানিক অর্থ করপুট, যুক্তকর, হাতজোর করে নৈবেদ্য প্রদান প্রভৃতি। এক সময় গ্লাস বা জলপানের পাত্রাদির এত প্রচলন ছিল না। নদী বা পুকরের পানি বিশুদ্ধ ছিল। তখন অধিকাংশ মানুষ নদী বা পুকুর হতে বা বালতির পানি দুই হাত জড়ো করে তুলে পান করতেন। বাকি অংশ গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন, মাতৃভাষা জ্ঞান, প্রাত্যহিক প্রয়োজন, শুদ্ধ বানান চর্চা এবং বিসিএস-সহ যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি লিংক : শুবাচ লিংক শুবাচ লিংক /২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৩

সন্ধি-বিচ্ছেদ / ড. মোহাম্মদ আমীন

সন্ধি বিচ্ছেদ অভীষ্ট = অভি + ইষ্ট                         তেজস্ক্রিয় = তেজঃ + ক্রিয় মুহুর্মুহু = মুহুঃ + মুহু                         যজ্ঞাগারে = যজ্ঞ + আগারে দিগভ্রম = দিক্ + ভ্রম                      নভোমন্ডল = নভঃ + মন্ডল দুর্বল = দুঃ + বল                            নীরব = নিঃ + রব নিরুপম = নিঃ + উপম                     নির্বোধ = নিঃ + বোধ মহাশয় = মহা + আশয়          ...

অকুণ্ঠ শব্দের ব্যুৎপত্তি / ড. মোহাম্মদ আমীন

অকুণ্ঠ শব্দের ব্যুৎপত্তি ‘অকুণ্ঠ’ শব্দের আভিধানিক অর্থ অকাতর, অসঙ্কুুচিত, অব্যাহত, অপ্রতিহত, নিঃশঙ্ক প্রভৃতি। সংস্কৃত হতে আগত এ অতিথি শব্দটি বাংলায় অনেক পরিবর্তন ও অর্থ সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থায় উপনীত হয়েছে। সংস্কৃত ভাষায় ‘অকুণ্ঠ’ শব্দের অর্থ : তীক্ষ্ম, বা ধারালো। অর্থাৎ যা ভোঁতা নয়, যাতে মরচে পড়েনি; যা সহজে অন্যকে কর্তন করতে পারে, খণ্ডিত করতে পারে; তা-ই অকুণ্ঠ। অন্যদিকে বাংলা ভাষায় অকুণ্ঠ শব্দের অর্থ অকাতর, অসঙ্কুুচিত, অব্যাহত, অপ্রতিহত, নি ঃশঙ্ক প্রভৃতি। এমন অর্থ পরিবর্তনের কারণ কী? যা ধারালো ও তীক্ষ্ম তা অকাতরে বা নির্ভীকচিত্তে অন্যকে কর্তন করতে পারে। সংস্কৃত ‘অকুণ্ঠ’ শব্দের এ যোগ্যতাকে বাংলা বিচক্ষণতার সঙ্গে ‘অকুণ্ঠ’ অর্থে ধারণ করে নিয়েছে। সংস্কৃত ‘অকুণ্ঠ’ বসে যন্ত্রপাতির আগে কিন্তু বাংলা ‘অকুণ্ঠ’ বসে প্রেম, প্রীতি, স্নেহ-সোহাগ, আদর-ভালোবাসা, সমর্থন প্রভৃতি শব্দের আগে। এসব শব্দের আগে ভোঁতা বা মরচে পড়া বিশেষণ উপযুক্ত নয়। প্রেম-ভালোবাসা ও আদর সোহাগ তীক্ষ্ম না-হলে কী চলে! ‘নাপিত অকুণ্ঠ ক্ষুর দিয়ে পরম আদরে শিশুটির চুল ছেটে দিল’- এমন কথা বাংলায় কেউ ব...

পতাকা ও প্রতীক / ড. মোহাম্মদ আমীন

 পতাকা ও প্রতীক পতাকা হল ধ্বজা, যা পতপত করে ওড়াতে হয়। পতাকা বা ধ্বজা কোনো দেশেরও হতে পারে, আবার প্রতিষ্ঠানেও হতে পারে। প্রতীক মানে চিহ্ন, রাজনৈতিক দলের যেমন চিহ্ন আছে, তেমনই ধর্মীয় দলেরও চিহ্ন আছে, আবার অন্য যে-কোনো প্রতিষ্ঠানেও থাকে। এই প্রতীক বা চিহ্ন দিয়েই রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় দল, প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচয় গড়ে ওঠে।   সব পতাকাই এক একটা প্রতীক, কিন্তু সব প্রতীক পতাকা নয়।

অপত্য শব্দের ব্যুৎপত্তি / ড. মোহাম্মদ আমীন

অপত্য শব্দের ব্যুৎপত্তি ‘অপত্য’ শব্দের আভিধানিক অর্থ : পুত্রকন্যা, সন্তান-সন্ততি প্রভৃতি। এটি সংস্কৃত শব্দ। সংস্কৃত ভাষায় শব্দটির অর্থ যদ্দ্বারা বংশ পতিত বা লোপ হয় না। তা হলে এখন প্রশ্ন আসে কার দ্বারা বংশ পতিত বা লোপ হয় না। যদি কেউ সন্তান-সন্ততি রেখে মারা যান তা হলে বংশ লোপ বা পতিত হয় না। আবার কেউ যদি সন্তান-সন্ততি না-রেখে মারা যান তা হলে তার আর বংশবৃদ্ধির সুযোগ থাকে না। ফলে বংশ লোপ পায় বা পতিত হয়। তাই বাংলায় অপত্য বলতে পুত্রকন্যা বা সন্তান-সন্ততিকে বুঝানো হয়েছে। তবে অপত্য শব্দটির এখন একক বা স্বাধীন ব্যবহার তেমন দেখা যায় না। শব্দটি অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চমৎকার অর্থ প্রকাশে প্রয়োগ করা হয়। যেমন : অপত্যস্নেহ, অপত্যনির্বিশেষে, অপত্যভালবাসা প্রভৃতি।

অনর্গল শব্দের ব্যুৎপত্তি / ড. মোহাম্মদ আমীন

অনর্গল শব্দের ব্যুৎপত্তি শব্দটির আভিধানিক অর্থ : অবিরাম, অনবরত। অনর্গল শব্দের অর্থ অর্গলহীন। যার কোন অর্গল নেই সেটিই অনর্গল। অর্গল শব্দের অর্থ হল দরজার হুক বা হড়কা। হুক বা হড়কা হল দরজার অতিপ্রয়োজনীয় যন্ত্র। হড়কা না-লাগালে দরজার উদ্দেশ্য অর্থহীন হয়ে যায়। হড়কা দরজার প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। এ জন্য অর্গলের আলঙ্করিক অর্থ প্রতিবন্ধক, অন্তরায়, বাধা প্রভৃতি। অনর্গল হল অর্গলের বিপরীত। সুতরাং অনর্গলের অর্থ হয় অবারিত, প্রতিবন্ধকতাহীন, অন্তরায়বিহীন। দরজায় হুক না-থাকলে যে কেউ, যে কোনকিছু কোনরূপ বাধা ব্যতিরেকে অবারিতভাবে যাওয়া-আসা করতে পারে। মুখে যদি অর্গল না-থাকে তা হলে যে কোনও কথা অবিরাম গতিতে বেরিয়ে আসে মুখ দিয়ে। দরজার অর্গল না-লাগালে যেমন সবার বাহির-প্রবেশ অবারিত ও অবিরাম হয়ে যায় তেমনি মুখে অর্গল না-থাকলেও তেমনটি ঘটে। এ ধারণার সূত্র ধরে ঘরের দরজার অর্গল বাংলা বাগ্‌ভঙ্গিতে উঠে এসেছে।

প্রাক্তন ও সাবেক / ড. মোহাম্মদ আমীন

প্রাক্তন ও সাবেক ‘প্রাক্তন’ তৎসম শব্দ। প্রাক্তন = প্রাচ্ + তন (ভো)। শব্দটির আভিধানিক অর্থ : প্রাচীন, পুরাতন, পূর্বেকার, অতীতকালের। অন্যদিকে ‘সাবেক’ শব্দটি আরবি ভাষা "সাবিক্" থেকে এসেছে। পুরো অংশ গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন, মাতৃভাষা জ্ঞান, প্রাত্যহিক প্রয়োজন, শুদ্ধ বানান চর্চা এবং বিসিএস-সহ যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কয়েকটি লিংক : শুবাচ লিংক শুবাচ লিংক /২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/১ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/২ শুদ্ধ বানান চর্চা লিংক/৩ নাটোর জেলার নামকরণ চকরিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য মানিকগঞ্জ জেলার নামকরণ ও ঐতিহ্য হাতিয়া উপজেলার নামকরণ ইতিহাস ও ঐতিহ্য পটুয়াখালী আগুনমুখা নদীর নামকরণ ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও ইউনিয়নসমূহের নামকরণ আমিও পুলিশ ছিলাম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভুল আর ভুল চটি পড়বেন না পরবেন তৈরি তৈরী দুঃসংবাদ তিন শ-য়ের বাড়াবাড়ি যত দোষ নন্দ ঘোষ দুর্গাপূজার বানান দুর্গতি সবুরে মেওয়া ফলে অবাক শব্দ সবাক অর্থ উনপঞ্চাশ বায়ু চড়ুইভাতি সুধি বনাম সুধী ভাবীর মাংস  মেয়ের দুধ সাধের লাউ ভূ এবং ভুবন ইংরেজি শব্দের বাংলা আত্তীকরণ সন্ধি বিচ্ছেদ...