Posts

Showing posts from January, 2016

ড. মোহাম্মদ আমীন / সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলাদেশের যোগাযোগ মন্ত্রী ও শিক্ষানুরাগী সৈয়দ আবুল হোসেনকে নিয়ে প্রকাশনীয় ‘সময়ের পরশ পাথর’ গ্রন্থের জন্য আমার একটা লেখা সংগ্রহ উপলক্ষ্যে ড. মোহাম্মদ আমীনের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে।  ড. আমীন যখন আমাকে ই-মেইল করেন তখন আমি লন্ডনে। ই-মেইলের শেষাংশ ছিল : “স্যার, সৈয়দ আবুল হোসেনের জন্য লেখা শেষ হলে আমার জন্যও দুকলম লিখবেন।” সহজ-সরল প্রকাশ, বেশ দাগ কাটে মনে।   জনাব আমীনই ‘সময়ের পরশ পাথর’ বইটির সম্পাদনা করছেন। সম্পাদকের অভিজ্ঞতা জানার আগ্রহ প্রকাশ করলে জনাব আমীন তাঁর লেখা কয়েকটি বই পাঠান। ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, ভুগোল, বৈশ্বিকভাবনা, জীবনী, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, উপন্যাস, ছোটগল্প, গবেষণা, বাংলা বানান, প্রশাসন, বাংলা সাহিত্য, আইন, আন্তর্জাতিক বিষয়, শিশুতোষগ্রন্থ, দর্শন, সম্পাদনা, ব্যাকরণ, অভিধান, ব্লগ, সমাজ জীবন- সবক্ষেত্রে দেখি সরব পদচারণা। গানও লিখেছেন, ছড়াও লিখেছেন, কবিতাও দেখলাম কয়েকটি। একটা পত্রিকাও ছাত্রজীবনে সম্পাদনা করেছেন।   তাঁর লেখা আমার কাছে অতুলনীয় মনে হয়েছে। ‘সময়ের পরশ পাথর’ গ্রন্থের জন্য লেখা দিতে গিয়ে ড. মোহাম্মদ আমীনের প্রোফাইল ও জীবনী প্রথমে একটু ধাক্কা দিয়...

শুবাচ / এস এস জ্যোতি

শুদ্ধ বানান চর্চা ------------------- বানান বানান ভুল বানানের খেলা সবাই মিলে বানালো এক শুদ্ধ বানান মেলা। সবাই মিলে গোলটেবিল বসেছে আজ ঠিক, টেবিলটা কি গোলই ছিল? লাগে কেন বেঠিক। সন্ধি কিংবা সমাস যোগে শব্দ হলে সৃষ্ট জেনে গেছি আর হবে না ণত্ব বিধান নষ্ট। অগ্রনেতা অগ্রনায়ক বহির্গমন হলে দুর্নীতি আর দুর্নামেও একই নিয়ম চলে। মৃগনাভি লক্ষ করি মূর্ধন্য-ণ যে নেই কস্তুরী হয় এটা, জানে না অনেকেই। অগ্রহায়ণ অগ্রণী আর গ্রামীণের বেলায় একপদে তা গণ্য হবে শুদ্ধ বানান খেলায়। আমি এলাম কেন এবার ভাবছি বসে তাই, অর্থনীতি রেখে আমি বাংলার গান গাই।  grin emoticon

আর্য : ড. মোহাম্মদ আমীন

অার্য শব্দের ইংরেজি aryan। ককেশীয় মহাজাতি গোষ্ঠীর একটি বৃহৎ নৃগোষ্ঠী। এদের আদি পুরুষ ১ লক্ষ ২৫ হাজার বছর আগে আফ্রিকা থেকে বের হয়ে ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়া শুরু করে। ৭৫ হাজার বছর আগে এদের একটি দল আরব উপদ্বীপে পৌঁছায়। ৬০ হাজার বছরের  মধ্যে এরা এশিয়া সংলগ্ন ইউরোপে বসতি স্থাপন করে। ৪০ হাজার বছরের মধ্যে রাইন নদী থেকে তুরস্ক পর্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫ হাজার অব্দের দিকে এদের একটি দল দানিয়ুব নদীর তীরবর্তী তৃণাঞ্চলে বসবাস করা শুরু করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং আন্তঃগোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কারণে এদের একটি দল এ অঞ্চল ত্যাগ করে দার্দেনেলিশ প্রণালী হয়ে এশিয়া মাইনরে প্রবেশ করে। খ্রিস্টপূর্ব ২৫ হাজার অব্দের দিকে এরা ইউফ্রেটিস-টাইগ্রিস নদী পার হয়ে মধ্য এশিয়ার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। পরে একটি দল চলে যায় ইউরোপের দিকে, অপর দলটি চলে আসে ইরানের দিকে। খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০ অব্দের দিকে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের অধিবাসীরা ভারতে প্রবেশ করে। ইরানে যারা থেকে গিয়েছিল তাদের বলা হয় ইন্দো-ইরানীয় এবং যারা ভারতে প্রবেশ করেছিল, তাদের বলা হয় আর্য।  ইউরোপীয় পণ্ডিতগণের মতে, আর্যগণ প্র...

হাড় / বিনয় রায়

Image
"হাড়" হলো অস্থি; অর্থাৎ যা দিয়ে মেরুদন্ডী প্রাণির দেহের কাঠামো তৈরি হয়। কিন্তু হাড় যুক্ত কিছু শব্দের প্রয়োগ আছে যার সাথে হাড়ের আভিধানিক অর্থের কোনো মিল নাই। ১. হাড় ভাজাভাজা হওয়া= অতিশয় জ্বালাযন্ত্রণা ২. হাড় গুঁড়ো করা= অতিশয় প্রহার করা ৩. হাড়কিপটে= অতি কৃপণ ৪. হাড়-জিরজিরে= স্বস্তিলাভ করা ৫. হাড় মাটি করা= অত্যন্ত জ্বালাতন করা ৬. হাড়ে-মাসে-জড়ানো= অচ্ছেদ্য সম্পর্কযুক্ত ৭. হাড়ে-হাড়ে= পুরোপুরি ৮. হাড় কালি হওয়া= দুঃখ ভোগ করা ৯. হাড়পাকা= পাকামিতে পটু ১০. হাড়ভাঙা= অতি শ্রমসাধ্য

এমন কি/এমনকি/এমন কী / ড. মোহাম্মদ আমীন

                   এমন কি/এমনকি/এমন কী ১. আইনের চোখে বৈধ নয়, ‘এমন কি’ কিছু আছে আপনার? ২. ইরাক থেকে, শূণ্য হাতে ফিরছি, অবৈধ জিনিস দূরে থাক এমনকি একমুঠো ভাত পর্যন্ত খেয়ে আসতে পারিনি। ৩. লোকটার কাছে ‘এমন কী’ পেয়েছে যে, পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে? প্রথম বাক্য প্রশ্নবোধক। এর উত্তর হ্যা বা না দিয়ে দেওয়া যায়। সুতরাং এমন ক্ষেত্রে হবে ‘এমন কি’। দ্বিতীয় বাক্য দেখুন, এটি কোনো প্রশ্নবোধক বাক্য নয়। এখানে ‘এমনকি’ শব্দ দিয়ে সামর্থের/ইচ্ছার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটান হয়েছে।বাক্যে ‘এমনকি’ শব্দটি না-দিলেও অর্থের হেরফের হতো না। বলা যায় এখানে ‘এমনকি’ পদটি অলঙ্কার হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এমনক্ষেত্রে হবে ‘এমনকি’। তৃতীয় বাক্য প্রশ্নবোধক। এ বাক্যে ‘এমন কী’ শব্দ দ্বারা একটি প্রশ্ন করা হয়েছে, যার জবাব ‘হ্যা’ বা ‘না’ দিয়ে পরিষ্কারভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। এমন বাক্যে লিখুন ‘এমন কী’।

ত্যাগ ও বিসর্জন / ড. মোহাম্মদ আমীন

ত্যাগ ’ ও ‘ বিসর্জন ’ দুটের আভিধানিক অর্থ প্রায় অভিন্ন হলেও প্রায়োগিক অর্থে বিশাল পার্থক্য দেখা যায় । ‘ ত্যাগ ’ ও ‘ বিসর্জন ’ অর্থ বর্জন , পরিহার , বর্জন প্রভৃতি । প্রকৃতপক্ষে মন্দ কিংবা মন্দ গণ্য করে কোনো কিছু বর্জন বা পরিহার করাকে সাধারণত ত্যাগ বলা হয় । যেমন : ছেলেটি বদভ্যাস ত্যাগ করেছে । ছেলেটি তার মাকে ত্যাগ ( হয়তো মাকে সহ্য করতে না - পেরে ) করে চলে গিয়েছে । পিতা পুত্রকে ত্যগ করে নিরুদ্দেশ হলেন । অন্যদিকে যা মন্দ নয় বরং অতি প্রিয় , অতি কল্যাণকর ও মঙ্গলময় তাকে বর্জন করতে বাধ্য হওয়াকে বিসর্জন বলা হয় । যেমন : দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে । রহমান সাহেব ( পরিস্থিতির কারণে ) তার আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজটি করেছেন ।

নষ্ট বিনষ্ট / ড. মোহাম্মদ আমীন

নষ্ট বিনষ্ট ‘নষ্ট’ শব্দের অর্থ ধ্বংসপ্রাপ্ত, বিনাশপ্রাপ্ত, ব্যর্থ, বিফল. বিকৃত, ব্যবহারের অযোগ্য, খারাপ চরিত্র ইত্যাদি।সাধারণত ‘বিনষ্ট’ শব্দের অর্থও প্রায় অভিন্ন। তবে ‘খারাপ চরিত্র’ প্রকাশে ‘বিনষ্ট’ শব্দের ব্যবহার দেখা যায় না। যেমন : ‘নষ্ট চরিত্রের ছেলে’ যত সহজে ও অনবরত শোনা যায় যায় ‘বিনষ্ট চরিত্রের ছেলে’ তত বলা হয় না। বস্তু বা বিষয়ের যে অবস্থা প্রকাশে ‘নষ্ট’ শব্দ ব্যবহৃত হয়, সে অভিন্ন অর্থ প্রকাশে কোনোরূপ সংশয় ছাড়া ‘বিনষ্ট’ শব্দ ব্যবহার করা যায়।ঈদানীং ‘বিনষ্ট’ শব্দটির ব্যবহার খুব কম এবং শব্দটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। সাধারণত অভিশাপ বা অকল্যাণ কামনায় কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিষয় বুঝাতে অনেকে ‘নষ্ট’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিনষ্ট’ শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে বিনষ্টের পরিবর্তে এসব ক্ষেত্রে বিনাশই সমধিক ব্যবহৃত হয়। যেমন : আমি অভিশাপ দিলাম, তার সব বিনাশ (বিনষ্ট) হয়ে যাবে। প্রকৃতির এমন বিনষ্ট তাণ্ডব আর দেখিনি। তবে শব্দ দুটোর মধ্যে সূক্ষ্ণ পার্থক্য রয়েছে।‘বি’ উপসর্গ দিয়ে সাধারণত কার্যকরণের ব্যাপকতা প্রকাশ করা হলেও বিনষ্ট’ শব্দের ক্ষেত্রে ‘বি’-উপসর্গ কিছুটা ভিন্নতার দাবি রাখে। এক্ষেত্র...

ঊনপঞ্চাশ বায়ু / ড. মোহাম্মদ আমীন

ঊনপঞ্চাশ বায়ু বাগধারাটির আভিধানিক অর্থ পাগলামি। ভারতীয় পৌরাণিক বৃত্তান্ত হতে বাংলায় ব্যবহৃত ‘ঊনপঞ্চাশ বায়ু’ পদের উদ্ভব। ‘উন’ আর ‘পঞ্চাশ’ শব্দের সমন্বয়ে ‘ঊনপঞ্চাশ বায়ু’ পদের সৃষ্টি।ঋগ্বেদ সংহিতায় বর্ণিত 'মরুৎগণ' হলেন ঝঞ্ঝার দেবতাদের একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী। এরা সংখ্যায় ঊনপঞ্চাশজন, অর্থাৎ ঊণপঞ্চাশৎ মরুৎ। মরুৎ ও বায়ু সমার্থক করে বাংলায় ঊনপঞ্চাশবায়ু কথাটির ব্যবহার হয়। ঊনপঞ্চাশজন ঝঞ্ঝার দেবতা একসঙ্গে কোনো কাজে বা কোনো কিছু করতে গেলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতো। তাঁরা কাজ করার সময় করেই যেত, ভালোমন্দ, ক্ষতি-লাভ কিছুই চিন্তা করত না। কারও মাথায় ভয়ানক গণ্ডগোল হলে, মেজাজ বিগড়ে গেলে কোনো কারণে সেও ‘ঊনপঞ্চাশ মরুৎ’ এর মতো ভয়ানক কর্মকাণ্ড শুরু করে দিতে পারে। এজন্য কারও মাথায় ভয়ানক গণ্ডগোল বুঝাতে 'ঊনপঞ্চাশবায়ু চড়েছে' কথাটির ব্যবহার করা হতো। যা আস্তে আস্তে পাগলামি অর্থ ধারণ করে। কারণ এমন বিবেচনাহীন কর্মকাণ্ড কোনো পাগল ছাড়া কেউ তো করতে পারে না। বাকি অংশ গবেষণা, প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন, মাতৃভাষা জ্ঞান, প্রাত্যহিক প্রয়োজন, শুদ্ধ বানান চর্চা এবং বিসিএস-সহ যে-কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ...

গর্ব ও গৌরব / ড. মোহাম্মদ আমীন

গর্ব ও গৌরব ‘গুরু ’ অর্থ মুরুব্বি, পণ্ডিত, শিক্ষক, বিদগ্ধ জন, জ্ঞানদাতা, পরামর্শদাতা প্রভৃতি। এ গুরু শব্দ হতে ‘গৌরব’ শব্দের উদ্ভব। তাই এটি সবসময় ইতিবাচক। অন্যদিকে গৌরব শব্দের প্রত্যয়জাত অর্থ ‘ গুরুত্ব , দামি, মূল্যবান, প্রয়োজনীয় ইত্যাদি। এসব প্রত্যয়ের সঙ্গে কিছুটা অহঙ্কার জড়িত হয়ে পড়ে। তাই গুরুত্ব কোনো কোনো ব্যক্তিকে অনেক সময় অহংবোধে আক্রান্ত করে তোলে। এজন্য এটি সবসময় ইতিবাচক না-ও হতে পারে। সংগতকারণে ‘গর্ব’ বলতে আমরা প্রায়শ অহংকারই বুঝে থাকি।অধিকাংশ অভিধানে ‘গর্ব’ ও ‘গৌরব’ শব্দের ব্যবহার অভিন্ন দেখান হয়েছে। তাই কোথাও কোথাও দুটো সমার্থক । যেমন : (১) ‘ মুক্তিযোদ্ধারা দেশের গর্ব ’ ( ২) ‘ মুক্তিযোদ্ধারা’ দেশের গৌরব ’ । বর্ণিত দুটো বাক্যে ‘গর্ব’ ও ‘গৌরব’ অভিন্ন (ইতিবাচক) অর্থ প্রকাশ করেছে।তবে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে অধিকাংশক্ষেত্রে শব্দ দুটোর ভিন্নার্থ দেখা যায়। সাধারণত ‘গর্ব’ নেতিবাচক এবং ‘ গৌরব’ ইতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয় । যেমন  : ( ১) ‘ গর্ব করা ভালো নয় । ’( নেতিবাচক ) , ( ২) ‘ তিনি দেশ ও জাতির গৌরব । ’( ইতিবাচক )

RX কেন প্রেসক্রিপশনে / ড. মোহাম্মদ আমীন

Image
                     RX কেন প্রেসক্রিপশনে প্রেসক্রিপশন বা চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রের সূচনায় ‘Rx’ লেখা নিয়ে কয়েকটি মতবাদ প্রচলিত আছে । প্রথমত , Rx হল বৃহস্পতি গ্রহ বা ‘ Jupiter’ এর Astrological চিহ্ন। গ্রহটি রোমান   দেবতাদের রাজা । Rx লেখা হয় এজন্য , যেন প্রেসক্রিপশনে লিখা   পথ্যের উপর রোমান দেবতা Jupiter শুভদৃষ্টি দেন এবং রোগী আরোগ্য লাভ করে । দ্বিতীয়ত : চিকিৎসা শাস্ত্রের অভিধান মতে , Rx ল্যটিন শব্দ যা ‘recipe’ ও ‘to take’ এই দুটো মানে বোঝায় । মূলত এই RX প্রতীকটি এসেছে একটা ল্যাটিন শব্দ থেকে । শব্দটা হল Recipe, যার অর্থ হল ‘ আপনি নিন/ আপনি গ্রহণ করুন ’ । প্রাচীন মিশরীয়দের মধ্যে ‘ উটচাট ’ বা ‘ হোরাসের চোখ ’ নামে এক ধরনের কবচের প্রচলন ছিল । হোরাস স্বাস্থ্য দেবতা । ‘ হোরাসের চোখ ’ নামে যে কবচ প্রচলিত ছিল তা অনেক রোগ প্রতিরোধ করত । এ কবচের প্রাথমিক আকৃতি অনেকটা হেরাসের চোখের মত ছিল । তবে এটা নানান জিনিস দিয়ে তৈরি করা হত...